দেশ থেকে পাচার করা অর্থ যুক্তরাষ্ট্র জব্দ করলে আমরা খুশি হবো: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশ শিগগিরই ভালো খবর পাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি

বাংলাদেশে দুর্নীতি বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করলে ঢাকা খুব খুশি হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নাগরিক সমাজের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, 'আমরা খুশি হবো যদি তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আমাদের দেশ থেকে পাচার করা অবৈধ অর্থ জব্দ করে। আমরা এটাকে স্বাগত জানাই।'

মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, তাদের কাছে নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতিবাজদের সম্পদ জব্দ করার মতো টুল আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষাবিষয়ক 'আকসা' ও 'জিসোমিয়া' নামের দুটি চুক্তি সইয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রকম চুক্তি করব বলে আমার মনে হয় না।'

তিনি বলেন, 'খাদ্য নিরাপত্তা ও বাসস্থান সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার, অন্য কিছু নয়।'

বৈঠকে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পাওয়া পরামর্শের বিষয়ে জানতে চাইলে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার কীভাবে বিদেশি কূটনীতিকদের ম্যানেজ করবে, সে বিষয়ে তারা পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি কূটনীতিকরা প্রায়ই (দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে) এমন মন্তব্য করেন, যা অন্য দেশের ক্ষেত্রে হয় না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের মানবাধিকার বা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের প্রশ্ন না করা এবং তাদেরকে কীভাবে প্রশ্ন করতে হবে, সে বিষয়ে সাংবাদিকদের একটা ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করারও পরামর্শ এসেছে।

বার্তাসংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশ-বিরোধী প্রচারণা এবং দেশের অর্জনকে ক্ষুণ্ন করার প্রচেষ্টা মোকাবিলায় বাস্তবসম্মত ও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

যেখান থেকে বিভ্রান্তিমূলক ও বাংলাদেশ-বিরোধী অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে, সেগুলো চিহ্নিত করার এবং তথ্যের ভিত্তিতে যথাযথ পাল্টা প্রচেষ্টার মাধ্যমে তা মোকাবিলা করার পরামর্শ দেন তারা।

অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, এমন ৩টি স্থানের কথা নির্দিষ্ট করে বলেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান। সেগুলো হলো—লন্ডন, ব্রাসেলস ও ওয়াশিংটন ডিসি।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ছিলেন সাবেক কূটনীতিক ফারুক সোবহান, তারিক এ করিম, ওয়ালিউর রহমান, আবদুল হান্নান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ, অধ্যাপক আবদুল মান্নান, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, অধ্যাপক ড. লাইলুফার ইয়াসমিন প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English

One killed in multi-vehicle crash on Dhaka-Mawa highway

The chain of crashes began when a lorry struck a private car from behind on the Mawa-bound lane

46m ago