চাঁদপুর

‘গরুর চড়া দামে হতাশ হয়েছি’

গরুর বাজার
চাঁদপুর সদরে সফরমালী গরুর হাট। ছবি: স্টার

চাঁদপুরে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য ২ শতাধিক স্থায়ী-অস্থায়ী হাট বসলেও এবার সব বাজারেই গরুর চড়া দামে হতাশ সাধারণ ক্রেতারা।

ঈদের ২ দিন বাকি থাকলেও অধিকাংশ ক্রেতা এখনো কোরবানির পশু কেনেননি।

গতকাল সোমবার থেকে কয়েকটি হাটে কোরবানির পশু কিনতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এর মধ্যে জেলার সবচেয়ে বড় স্থায়ী গরুর বাজার সদর উপজেলার সফরমালি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আনা ছোট-বড় কয়েক হাজার গরুতে ভরপুর।

গরু কিনতে চাঁদপুর ছাড়াও আশে-পাশের জেলার কয়েক হাজার মানুষ সেদিন সকাল থেকেই ভিড় করেন। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম প্রায় দ্বিগুণ হওয়ায় ক্রেতারা হতাশ।

অধিকাংশ ক্রেতাকেই দুপুর পর্যন্ত দর কষাকষি করতে দেখা যায়। এরপর জমে উঠে গরু কেনাবেচা এবং তা চলে রাত পর্যন্ত।

এ বাজারে সবচেয়ে বেশি বড় গরু আসে রাজবাড়ী থেকে। প্রায় পনের মন ওজনের শাহীওয়াল গরুটি দাম চাওয়া হয় সাড়ে ৫ লাখ টাকা।

চাঁদপুরের গরুর বাজারগুলোয় ক্রেতার ভিড় দেখা যায়। ২৬ জুন ২০২৩। ছবি: স্টার

গরু বিক্রেতা আবুল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '৩টি গরু নিয়ে এসেছি। ২টা দুপুরেই বিক্রি হয়ে গেছে। একটি গরু একটু বড় হওয়ায় ক্রেতারা এটি এত দামে নিতে আগ্রহী হচ্ছেন না। তবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৪ লাখ টাকা দাম পেলে গরুটি বিক্রি করে দেব।'

গরু কিনতে আসা চাঁদপুর শহরের মমিনবাগের হারুনুর রশিদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অনেক গরু উঠেছে শুনে কিনতে এসে চড়া দামে হতাশ হয়েছি। অন্য বছর যে আকৃতির গরু ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা কেনাবেচা হয়েছে, এ বছর সেই আকৃতির গরু ১ লাখ থেকে দেড় লাখ দাম চাওয়া হচ্ছে।'

হাজী মহসিন রোডের মনির ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এবার এই বাজারে ক্রেতার সংখ্যাই বেশি দেখা যাচ্ছে। সবাই দর কষাকষি করছেন। বিক্রেতারা দাম কমাচ্ছেন না।

এ দিকে শহরের স্বর্ণ খোলা, বাবুরহাট ও বাগাদী চৌরাস্তায় বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে সেখানে অনেক ছোটবড় গরু উঠেছে। কিন্তু কোনো বিক্রেতাই দাম কমাতে চাচ্ছেন না। এ জন্য এসব বাজারে কেনাবেচা অনেক কম বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

ক্রেতাদের ভাষ্য, গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক ভালো গরু বাজারে আনা হলেও দাম অনেক বেশি।

Comments

The Daily Star  | English

Wasa water stinks

For the past two weeks, Siddiqur Rahman, a resident of Shantibagh in Dhaka, has been receiving water from Dhaka Wasa infested with insects and accompanied by a strong stench.

12h ago