ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের উদ্বেগ

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। ফাইল ছবি: রয়টার্স
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক। ফাইল ছবি: রয়টার্স

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কাউন্সিলের ৫২তম নিয়মিত অধিবেশনের সংস্থাটির হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক ৪০টি দেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আলাদা করে বলেছেন বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে।

গতকাল মঙ্গলবার হাই কমিশনার ভলকার তার কার্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম ও মানবাধিকার বিষয়ক উদ্যোগের সর্বশেষ তথ্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ বিষয়ে ভলকার বলেন, 'আগামী বছরের নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতার ক্রমবর্ধমান ধারা, সঙ্গে রাজনৈতিক আন্দোলন কর্মীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও মানবাধিকার কর্মী ও গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অব্যাহত হয়রানির বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আমার কার্যালয়ের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর আমি এটিকে সংস্কারের অনুরোধ জানাচ্ছি, কারণ যারা মুক্ত চিন্তা ও বিশ্বাসের অধিকার প্রয়োগের চেষ্টা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে এই আইনের মাধ্যমে ফৌজদারি দণ্ড দেওয়ার ধারা অব্যাহত রয়েছে।'

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কাউন্সিলের ৫২তম নিয়মিত অধিবেশনটি শুরু হয়েছে ২৭ ফেব্রুয়ারি। এটি চলবে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত।

মানবাধিকারবিষয়ক কাউন্সিল বছরে অন্তত ৩ বার নিয়মিত অধিবেশনে বসে, যার মোট দৈর্ঘ্য ১০ সপ্তাহ। এই অধিবেশনগুলো সাধারণত ফেব্রুয়ারি-মার্চ, জুন-জুলাই ও সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে হয়। কর্মসূচির মাত্রা অনুযায়ী একেকটি অধিবেশনের দৈর্ঘ্য ৩, ৪ অথবা ৫ সপ্তাহ হতে পারে।

সংস্থার ৪৭ সদস্য রাষ্ট্রের অন্তত ৩ ভাগের ১ ভাগ সদস্য অনুরোধ করলে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বা অন্য কোনো জরুরি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিশেষ অধিবেশনে আয়োজন করা হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

NCP unveils 24-point ‘New Bangladesh’ manifesto, calls for Second Republic and new constitution

Key pledges include recognising the July uprising and ensuring justice for those affected

15m ago