আটকের পর ১ হাজার টাকা ঘুষ সাধলেন 'গুলশানের ভিক্ষুক'

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা যৌথভাবে ভিক্ষাবৃত্তির বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। ছবি: সংগৃহীত

ভিক্ষাবৃত্তির বিরুদ্ধে যৌথভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

সেসময় পুনর্বাসনকেন্দ্রে না পাঠাতে অনুরোধ ও কাকুতি-মিনতির পর সমাজসেবা কর্মকর্তাকে ১ হাজার টাকা ঘুষ সেধেছেন গুলশানে 'ভিক্ষা' করতে আসা তারা মিয়া।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ নম্বর মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

অভিযান পরিচালনা করেছেন ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-৩–এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল বাকী।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সরকারের ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষিত এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি দূর করার লক্ষ্যে ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তি (পুনর্বাসন) আইন, ২০১১–এর আওতায় অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে গুলশান এলাকায় ১৬ জনকে আটক করা হয়। তবে এক নারী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।'

ঘুষ দিতে চাওয়ার ঘটনাটি সম্পর্কে সমাজসেবা কর্মকর্তা চন্দন কুমার মিত্র ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তারা মিয়া কয়েকটি গাড়িতে ভিক্ষা চাওয়ার পর বাসের সামনে অপেক্ষা করছিলেন, বাসে উঠে ভিক্ষা খুঁজবেন বলে। তখন আমরা তাকে আটক করি। তাকে গাড়িতে ওঠানোর চেষ্টা করি।'

'কিন্তু তিনি কিছুতেই পুনর্বাসনকেন্দ্রে যেতে রাজি হচ্ছিলেন না। কাকুতি-মিনতির এক পর্যায়ে নিজেকে ভিক্ষুক নন বলেও কর্মকর্তাদের কাছে দাবি করেন তারা মিয়া। একপর্যায়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের তিনি ১ হাজার টাকা দিতে চান।'

তারা মিয়ার ডান হাত কবজি থেকে কাটা, বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদী এলাকায় বলে জানা গেছে।

বুধবার অভিযানে আটক হওয়া ব্যক্তিদের মিরপুর-১ নম্বরে অধিদপ্তরের পুনর্বাসনকেন্দ্রে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Sagar-Runi murders: HC grants 6 more months to taskforce to end probe

He said the documents are currently being recovered, which is why additional time is required to complete the investigation

12m ago