নদী থেকে বালু উত্তোলন: সেই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
নাটোরের সিংড়ায় আত্রাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ঘটনায় সিংড়ার শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব রুবেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
নাটোরের সিংড়া আমলি আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাজু আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাঈদ শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।'
গত বছরের ২৩ অক্টোবর ডেইলি স্টারে 'আত্রাই থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এরপর ২৫ অক্টোবর ডেইলি স্টারের সংবাদ দেখে স্বপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বিশেষ পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দেন নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাঈদ।
পরে ৩ মাস ধরে তদন্ত কাজ শেষে গত ১ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাটোরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর উপপরিদর্শক মো. সাইদুর রহমান।
তদন্তে লুৎফুল হাবীব রুবেলের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে আত্রাই নদীগর্ভ থেকে বালু উত্তোলন করে ভাবনা নগরকান্দি ও শিববাড়ি ঘাটের পাড় ভেঙে ক্ষতিসাধন করার সত্যতা পান তদন্তকারী কর্মকর্তা।
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটিএম মাইনুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বালু উত্তোলনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হাতে পায়নি পুলিশ। আদালত যদি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে, তার কপি হাতে পাওয়ার পর পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।'
অভিযুক্ত লুৎফুল হাবিব রুবেল নাটোরের সিংড়া উপজেলার শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লুৎফুল হাবিব রুবেল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি এ বিষয়ে এখনো কিছু জানি না। এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত না। আপনারা প্রতিবেদন করায় এগুলো হয়েছে। আমি জানি না কেন আমারা বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করা হয়েছে। এরসঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।'
Comments