যুবলীগ নেতার বাধায় বিএডিসির বীজ বিতরণ বন্ধ, অভিযোগ ডিলারদের

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

প্রায় ১ মাস ধরে চুয়াডাঙ্গার বিএডিসির বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র থেকে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ডিলাররা  বোরো ধানের বীজ নিতে পারছেন না। অভিযোগ উঠেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগ নেতার বাধার কারণে বীজ বিতরণ বন্ধ আছে।

তার সঙ্গে কৃষি ভবনের কয়েকজন কর্মকর্তাও জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন ডিলাররা।

বিএডিসি সূত্র জানায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিএডিসির কুষ্টিয়া বিপণন ও চুয়াডাঙ্গা বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রকে প্রায় ৩ হাজার টন বোরো ধানের বীজ বিক্রির অনুমোদন দেয় কর্তৃপক্ষ। গত ১১ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি আঞ্চলিক বিপণন কার্যালয়ে পাঠানো হয়। চিঠিতে চিকন জাতের বীজের দাম প্রতি কেজি ৩৮ টাকা ও মাঝারি চিকন জাতের ৩৭ টাকা এবং মোটা জাতের বীজের দাম ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

ডিলাররা জানান, ২৫ জানুয়ারি সকালে চুয়াডাঙ্গা বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে ৩ জেলার ডিলারদের কাছে বীজ বিতরণ করা হচ্ছিল। এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম জোয়ার্দ্দারের সমর্থকরা সেখানে উপস্থিত হয়ে বীজ বিতরণে বাধা দেন।

চুয়াডাঙ্গা বিএডিসির বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক দেলোয়ার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের কিছুই করার নেই। যুবলীগ নেতা নঈম জোয়ার্দ্দার চুয়াডাঙ্গা থেকে অন্য জেলার ডিলারদের বীজ দিতে নিষেধ করেছেন। এ কারণে বীজ সরবরাহ বন্ধ আছে।'

অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা নঈম জোয়ার্দ্দার চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এবং নিজেও একজন বীজ ব্যবসায়ী।

অভিযোগের বিষয়ে নঈম জোয়ার্দ্দার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রতিবছর চুয়াডাঙ্গা থেকে অন্য জেলায় বীজ দেওয়া হয়। এ কারণে আমার জেলার কৃষকরা বীজ সংকটে পড়েন। আমি বা আমার লোক বীজ সরবরাহে কোনো বাধা দিইনি। বরং আমি কর্মকর্তাদের বিষয়টি সমাধান করতে বলেছি।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুষ্টিয়ার এক বীজ ডিলার জানান, পে-অর্ডার দিয়ে বুধবার সকালে চুয়াডাঙ্গা বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র থেকে বীজ আনতে যান তিনি। এসময় বিএডিসির কর্মকর্তারা তাকে জানান, কোনো বীজ দেওয়া যাবে না।

তিনি অভিযোগ করেন, 'পরে আমি জানতে পারি, যুবলীগের ওই নেতা বীজ দিতে নিষেধ করেছেন।'

কুষ্টিয়া জেলা বিএডিসি বীজ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জুবায়েদ রিপন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চুয়াডাঙ্গা বিএডিসিতে একটি শক্ত সিন্ডিকেট কাজ করছে। যারা সব বীজ চুয়াডাঙ্গা জেলাতে রাখতে চান এবং অন্য জেলায় বেশি দামে বিক্রি করতে চান। এর সঙ্গে ওই অফিসের দুই কর্মকর্তাও জড়িত।'

তিনি আরও বলেন, 'বীজ রোটেশন করে বিভিন্ন জেলায় ভাগ করে দেওয়া সাধারণ সরকারি বিধি। এক্ষেত্রে কোনো জেলার কোটা পুরো না হলে সেখান থেকে অন্য জেলায় বীজ বণ্টন করা যাবে না, এটা অনৈতিক।'   

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh transition from autocracy to democracy

Transitioning from autocracy to democracy: The four challenges for Bangladesh

The challenges are not exclusively of the interim government's but of the entire political class.

9h ago