এটা একটি পাঠাগার

গত বছরের ২ মার্চ উদ্বোধন করা ডিএসসিসি নির্মিত এই লাইব্রেরিটি এখন পর্যন্ত বন্ধ। শুধু নিচতলার পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত। ছবি: স্টার

রাজধানীর আজিমপুর মোড়ে কালো কাঁচে ঘেরা আধুনিক ভবন। ভবনের স্থাপত্যের চেয়ে বেশি নজর কাড়ে ভবনের গায়ে বড় নেমপ্লেট, লেখা 'পাবলিক টয়লেট'।

এমন সুবিশাল ভবনের গায়ে 'পাবলিক টয়লেট' লেখা দেখে যারা এর সামনে দিয়ে যান, তারা অনেক সময় বিভ্রান্তিতেও পড়েন।

প্রকৃত বিষয় হলো-তিনতলা এই ভবনটি মোটেও পাবলিক টয়লেট নয়। এটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি লাইব্রেরি। এর নাম 'আজিমপুর নগর পাঠাগার'।

গত বছরের ২ মার্চ এ লাইব্রেরির উদ্বোধন করেন ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। কিন্তু উদ্বোধনের প্রায় এক বছর পার হলেও এখনো লাইব্রেরিটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করেনি।

কোটি টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে।

এর নিচতলায় একটি পাবলিক টয়লেট আছে। এটি অবশ্য জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত। ভবনের পরিকল্পনা অনুযায়ী এর দ্বিতীয় তলায় একটি লাইব্রেরি ও ছাদে একটি কফি শপ থাকার কথা।

গতকাল সোমবার সরেজমিনে ভবনটি পরিদর্শন করে দেখা যায়, দ্বিতীয় তলায় লাইব্রেরি কক্ষের প্রধান ফটকে একটি বড় তালা ঝুলছে।

নিচতলার পাবলিক টয়লেটের দায়িত্বে থাকা এক কর্মী জানান, উদ্বোধনের পর একদিনও লাইব্রেরির দরজা খোলা হয়নি।

সেখানে লাইব্রেরির সামনে আরেকটি নেমপ্লেট বসানো আছে। এতে লাইব্রেরির অস্তিত্ব জানা গেলেও, এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। সেখানে কোনো বইও চোখে পড়েনি।

লাইব্রেরির দায়িত্বে আছেন স্থানীয় কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'লাইব্রেরিটি উদ্বোধন করা হলেও, ইজারা না দেওয়ায় এখনো চালু হয়নি।'

তবে ইজারার টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং লাইব্রেরি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চলতি মাসে কার্যাদেশ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। 

'আশা করছি শিগগির লাইব্রেরিটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং কফি শপটিও খুলে দেওয়া হবে। এখন আমরা বই সংগ্রহ করা শুরু করছি,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

7h ago