কানাডার প্রবেশদ্বার পিয়ের ২১ জাদুঘর

ছবি: সংগৃহীত

আমাদের সারিবদ্ধ লাইন লম্বা হয়ে গেছে। যারা আছি সবাই নবাগত ছাত্র ছাত্রী। হাজারো স্বপ্ন নিয়ে টরেন্টো পিয়ারসন এয়ারপোর্টের প্রবেশপথে অফিসারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি। সামনে কি সময় অপেক্ষা করছে কেউ জানি না! যদি কোন গড়বড় হয় এখান থেকেই ফিরতি বিমানে সোজা নিজ নিজ দেশে ফেরত চলে যেতে হবে! স্বপ্নের সূচনালগ্নেই নিদারুণ পরিসমাপ্তি।

এক কর্মকর্তা ক্রমাগত পায়চারি করছিলেন এবং সবাইকে আইইএলটিএস এর সার্টিফিকেটটা সাথে রাখতে বলছিলেন। ইমিগ্রেশন অফিসার চেক করবেন। (এটা ওইদিন আমাদের সাথে হয়েছিল, ব্যতিক্রমী ঘটনা)। ওই লোককে বেশ নিষ্ঠুর মনে হয়েছিল আমার। এক ছাত্রের পায়ে আঘাতজনিত কারণে দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছিল। তখন ওই লোককে বলতে শোনা গিয়েছিল, "কষ্ট হলে হবে, এখানে কারও বসার কোন সুযোগ নেই!" অভিবাসীদের স্বাগত জানানোর দেশ কানাডার সেই বন্ধুপ্রতিম চিত্র অনেকখানি বিবর্ণ হয়ে পড়েছে অনেকের চোখে। মনে অজানার আশংকা ভর করেছে।

ওইসময় পাশাপাশি মোট তিনজন অফিসার কাগজপত্র যাচাই-বাছাইর কাজ করছিলেন। আমার বাকি দুই পাশের দুইজন ছাত্রকেই নানান প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে অফিসাররা দাঁড় করিয়ে রেখেছেন। কি কারণ জানা নেই। শুধু এটাই দেখেছি ওদেরকে বলা হয়েছিল, ওরা যেন নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কল করে কোন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেন অফিসারকে। তিনি কথা বলতে চান!

আমার ছাড়পত্র হাতে চলে এসেছে- এটাকে স্টাডি পারমিট বলে। রওয়ানা হলাম। যেতে যেতে পাশের দুজনের অসহায় মুখ দেখতে পেলাম! জানি না সত্যিই ওইদিন ওদের সাথে কি হয়েছিল? ওরা কি আদৌও টরেন্টো বর্ডার পার হতে পেরেছিল? আপনারা ভাবছেন জাদুঘরের কথা না বলে কেন এসব লিখেছি?

কারণ আমরা ঘুরে আসবো ক্যানাডিয়ান মিউজিয়াম অব ইমিগ্রেশন অ্যাট পিয়ের ২১ থেকে। এই পথেই একসময় হাজারো, লাখো মানুষ জাহাজে চেপে স্বপ্নের দেশ কানাডায় পাড়ি জমাতো। কেউ ওই সীমারেখা পার হত আর কাউকে ওখান থেকেই ফিরতি জাহাজে নিজ স্বদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হতো।

হ্যালিফ্যাক্স শহরের গত পর্বে আমরা প্রধান লাইব্রেরি নিয়ে কথা বলেছি। এবার আমরা ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখব।

পিয়ের ২১

ক্যানাডিয়ান মিউজিয়াম অব ইমিগ্রেশন অ্যাট পিয়ের ২১ কানাডার ষষ্ঠ জাতীয় জাদুঘর। জাদুঘরটি পিয়ের ২১ জাতীয় ঐতিহাসিক স্থান যা হ্যালিফ্যাক্স সমুদ্রবন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় অবস্থিত। পিয়ের ২১ এর এই প্রবেশপথে ১৯২৮-১৯৭১ সাল পর্যন্ত এক মিলিয়ন অভিবাসী কানাডায় পদার্পণ করেছিলেন। মূলত পিয়ের ২১  জাহাজের প্রধান বন্দর এবং অভিবাসন অফিস হিসেবে ওই সময়কালে কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল। এটি ছিল কানাডার সর্বশেষ সমুদ্রবন্দর অভিবাসন বিভাগ। একে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এলিস আইল্যান্ডের সাথে তুলনা করা হয়।

১৮৮০ সালে কার্যক্রম শুরু করা হ্যালিফ্যাক্স পোতাশ্রয়, কুইবেক শহর এবং বৃটিশ কলম্বিয়ার ভিক্টোরিয়া শহর ছিল কানাডার অন্যতম প্রধান তিন অভিবাসন বন্দর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ভিক্টোরিয়া শহরেই কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পদার্পণ করার কথা ছিল ১৯২৯ সালে কিন্তু অভিবাসন বিভাগের কর্মকর্তাদের অশোভন ব্যবহারের কারণে তিনি এই শহরে পদার্পণ করেননি। তখনকার কানাডায় বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছে লাখ লাখ শরনার্থী। এটা মিউজিয়ামে প্রবেশ করলেই ডানদিকে ওইসময়কার চাবুক, অত্যাচারিত, নিপিড়ীত মানুষের ছবিসহ বেশ স্পষ্টভাবে দেখানো হয়েছে। শুধু তা-ই নয় মিউজিয়ামের আরও বিভিন্ন জায়গায় এর উল্লেখ করা হয়েছে।

পটভূমি এবং নির্মাণ

১৮৮০ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হলেও প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং ১৯১৭ সালের মর্মান্তিক হ্যালিফ্যাক্স বিস্ফোরণের কারণে এর নির্মাণকাজ সমাপ্ত হতে বিলম্বিত হয়। তবে পূর্ববর্তী সময়ে এটি বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন যুদ্ধ জাহাজ এবং যুদ্ধের জন্য ব্যবহ্রত বিশেষ হাসপাতালবাহী জাহাজের পোতাশ্রয় হিসেবে ব্যবহ্রত হয়েছিল। ১৯১৩ সালে কানাডায় ইউরোপগামী বিপুলসংখ্যক অভিবাসীর আগমণ ঘটে যা মূলত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে হয়েছিল। তখন কর্তৃপক্ষ আরও বড় পরিসরে টার্মিনাল নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে একে সম্প্রসারিত করে এবং সদ্য আগত অভিবাসীদের অবাধে যাতায়াতের জন্য হ্যালিফ্যাক্সের উত্তর দিকে রেলওয়ে লাইন স্হাপন করে।

কর্তৃপক্ষ পিয়ের ২১ এর দ্বিতীয় তলায় অভিবাসীদের মেডিকেল ক্যাম্প এবং বন্দীশালা স্থাপন করে যা মিউজিয়ামের প্রদর্শনীতে হুবহু দেখানো হয়েছে। ওই ভবনের সাথে আরেকটি ভবন যুক্ত হয়েছে যেখানে তখনকার বর্ডার অফিসাররা ইমিগ্রেশনের কাজ করতেন। এছাড়াও কাস্টমস, রেলওয়ে বুকিং অফিস, টেলিগ্রাফ অফিস এবং রেস্টুরেন্টেরও ব্যবস্থাও করা ছিল। যাদের ইমিগ্রেশন হয়ে গেছে অর্থাৎ যারা কানাডায় প্রবেশের অনুমতি পেয়েছেন তাদের জন্য খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা ছিল যাতে এরপর দীর্ঘ রেলযাত্রার পূর্বে কিছুটা হলেও ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেন। ওখান থেকে অন্যান্য জায়গায় টেলিগ্রামের মাধ্যমে যোগাযোগের পর নিয়মিত বিরতিতে ট্রেন ছেড়ে যেত সমগ্র কানাডার উদ্দেশ্যে।

পিয়ের ২১ এ জাহাজের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯২৮ সালের ৮ মার্চ এসএস নিইউ অ্যাম্টারডামের মাধ্যমে।  এতে চেপেই প্রথমবারের মতো নতুন টার্মিনালে এসে পৌঁছান অভিবাসীগণ।

একই পথে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রায় ৪ লক্ষ ৯৬ হাজার কানাডীয় সৈন্য অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। শুরুর দিকের সময়ে মূলত ইংরেজ,ডাচ অভিবাসী ছাড়াও বিভিন্ন কর্মসংস্থানপ্রদানকারী পৃষ্ঠপোষকতায় কর্মচারীরা অভিবাসী হিসেবে আসার সুযোগ পান।  মিউজিয়ামে প্রবেশের পর দুপাশের পুরো দেয়াল জুড়ে সবাইকে স্মরণ করা হয়েছে যারা প্রারম্ভের সময় থেকেই পিয়েরের সাথে রয়েছেন। 

মূল প্রদর্শনী শুরুর আগে বাইরে ওই সময়কার কানাডার বর্ণবাদী আচরণে জর্জরিত অসহায়, ভগ্নদশায় থাকা অসংখ্য মানুষের ছবি এবং কিছু নমুনাও প্রদর্শিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চাবুক, তখনকার সময়ের কিছু বিস্ফোরক সরঞ্জাম, ছবি এবং দর্শনার্থীদের বসার খুব নান্দনিক ব্যবস্হা। প্রবেশ করলেই এর আশেপাশের ছবিসহ নানান ঘটনার উপস্থিতি আপনাকে কোন এক গল্পের জগতে নিয়ে যাবে। মনে হবে আপনিও ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছেন। প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশের পর তখনকার আর এখানকার অভিবাসনের তুলনামূলক পার্থক্য তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বেশ বড় এক মানচিত্র জুড়ে দেখানো হয়েছে ওই সময়ে কোন কোন জায়গায় প্রধানত অভিবাসীদের প্রবেশ হত। 

এখন পর্যন্ত মোট কতগুলো জাহাজ এখানে এসেছিল তার এক বিশাল লিস্ট রয়েছে তারিখ, ছবিসহ। শুধু তা-ই নয়, ওই সমস্ত জাহাজের ক্ষুদ্র নমুনাগুলিকেও বেশ যত্নে শোকেসে রাখা হয়েছে। অল্প খানিকটা এগিয়ে গিয়ে রয়েছে তখনকার জাহাজের যাত্রীদের বসার এবং খাওয়াদাওয়ার টেবিলসহ খাদ্যসামগ্রীর নমুনা। অবিকল জাহাজের ভেতর থেকে বাইরে যেমন দেখায় সে আদলেই পুরোটা ডিজাইন করা হয়েছে। পাশাপাশি দেখতে পাব যাত্রীদের শোবার বিছানা এবং আস্ত একটা কামরা। হেঁটে যেতে যেতে আপনার মনে হবে আপনি ১৯২৮ সালে পৌঁছে গেছেন। তখনকার অভিযাত্রীদের বহন করে নিয়ে আসা হরেক রকমের দৈনন্দিন জীবনের তৈজসপত্র থেকে শুরু করে দ্বিচক্রযানের নিদর্শনও রয়েছে ওখানে। আরও কিছুটা এগিয়ে গিয়ে রয়েছে আস্ত একটা রেলগাড়ীর একাংশ। সোজা হেঁটে ভেতরে চলে যান৷ জানালা দিয়ে কিছু দেখতে পাচ্ছেন?

পাবেন কি করে? ওখানে কাঁচে আকা রয়েছে তখনকার কানাডিয়ান শীত কেমন দেখায় সেটা। রেলের সিটে বসে আপনার মনে হবে তুষারে ঢেকে যাওয়া বাইরের পথ  ঝকঝক শব্দে এগিয়ে চলেছে! তখনকার ট্রেনে যাত্রীরা যেখান খাবার কিনতো সেই রান্নাঘর কেমন হয় তা-ও সচক্ষে দেখুন। ট্রেনের কামরার বাইরে এসেও আপনার ঘোর কাটবে না! ওখানে রাখা আছে মালামাল টানার গাড়ি, বাক্স পেটরা, সুটকেস। আপাতদৃষ্টিতে  মনে হবে এখান থেকে একটা নিয়ে দিব্যি রেলগাড়ীতে সওয়ার হয়ে অজানা কানাডাকে জানতে শুরু করি! 

এবার আমরা চলে আসবো বাইরে। যাত্রীদের বসার জন্য বেশ প্রশস্ত বারান্দা, বসার সবরকম ব্যবস্থাও রয়েছে। সামনে সমুদ্র পথ দেখতে পাবেন। এখানেই এসে নোঙ্গর করতো বিশাল বড় সেইসব যাত্রীবাহী জাহাজ। ভেবে দেখুন তো একবার, আপনি দাঁড়িয়ে আছেন আর সামনে শব্দ করে হুইসেল বাজিয়ে হাজির হল প্রকাণ্ডকায় এক জাহাজ! এর এক কোণায় এখন ওরা করেছে দর্শনার্থীদের মন্তব্য কর্ণার।  

জাদুঘরটি পিয়ের ২১ জাতীয় ঐতিহাসিক স্থান যা হ্যালিফ্যাক্স সমুদ্রবন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় অবস্থিত।

আপনার চোখে পিয়ের ২১ কে অনুভূতি জানতে চেয়েছে কর্তৃপক্ষ। কাগজ, পেন্সিল রাখা আছে। নিজের মতামত লিখে টাঙানোর জায়গাটা বেশ নান্দনিক! এখানে সারা পৃথিবীর মানুষ নিজেদের ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় মন্তব্য করেছেন। বারান্দা বেয়ে ভেতরে ঢোকার দুটো পথ রয়েছে, একটিতে আগমণের পরপরই সবাইকে যেখানে বসতে দেওয়া হত। এখানেই অভিবাসন কর্মকর্তাগণ কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করতেন।

আরেকটি পথ চলে গেছে রেলের কামরার দিকে। খুব সম্ভবত এই পথ বর্তমানে দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে। কারণ ইমিগ্রেশনের দরজা ছাড়া আর কোন দরজা তখনকার মূল নকশায় দেখা যায় না। প্রবেশ করলেই ওখানে মিউজিয়ামের একটা ছোট্ট মিনিয়েচার রাখা আছে। একটু ভালো করে লক্ষ করলে দেখবেন বিষয়টা।

 শাহবাগ জাতীয় জাদুঘর এবং পিয়ের ২১

শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর আর হ্যালিফ্যাক্সের পিয়ের ২১ এর মধ্যে তুলনা করাটা নিছক কৌতুলের বশে। কারণ আমাদের দেশে অভিবাসী বিষয়ক কোন জাদুঘর নেই। এখানকার জাদুঘর এবং আমাদের দেশের মধ্যে তুলনা করতে গিয়ে প্রথমেই চোখে পড়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টা। আমাদের জাতীয় জাদুঘরের আয়তনের তুলনায় পিয়ের ছোট হলেও এরা রক্ষণাবেক্ষণ, তদারকির দায়িত্ব খুবই নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছেন এতে কোন সন্দেহ নেই।  দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে প্রবেশপথ থেকে শুরু করে বর্হিগমন পর্যন্ত বিশেষ নির্দেশনাবলীর ব্যবস্থা রয়েছে।

জাতীয় জাদুঘরে যেমন এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন উপকরণ এবং নমুনাকে উপস্থাপন করেছে তেমনি এখানেও সময়কাল ভেদে, তখনকার ম্যাপ অনুযায়ী সাজানো। 

আমাদের জাদুঘরে যদি কোন বিদেশি পর্যটক পরিদর্শনে আসেন তবে মনে হয় না দোভাষীর কোন ব্যবস্থা রয়েছে। বিষয়টা পুরোপুরি লেখকের জ্ঞাত নয়। তবে পিয়েরে  কানাডার দুই প্রধান ভাষায় (ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ) পরিদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। একজন কর্মকর্তা একটি দলকে পুরো মিউজিয়াম ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখান এবং সবকিছুর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দেন। এর নাম দি পিয়ের ২১ স্টোরি। মজার বিষয় হচ্ছে এনাদের মধ্যে অনেকের পূর্বপুরুষগণ এই পথেই কানাডা এসেছিলেন। বক্তব্যের শুরুতে তাকে স্মরণ করে সবাইকে বিষয়টি অবগত করেন। এনাদের সকলের কথা সবিস্তারে রয়েছে স্কসিয়া ব্যাংক ফ্যামিলি স্টোরি সেন্টারে। এটা প্রবেশপথের পাশেই রয়েছে।

"ইন কানাডা" নামে একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম প্রদর্শনের ব্যবস্থাও আছে এখানে। আমরাও এমন কিছু ডকুমেন্টারি বা শর্ট ফিল্ম তৈরি করতে পারি এতদিনের জাতীয় জাদুঘরের যাত্রাপথ নিয়ে। শাহবাগের জাদুঘর অনেক পুরনো হলেও এর সংস্কার কাজ যতটা হওয়া প্রয়োজন তা করা হয়নি। আর একেক সরকারের আমলের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনও দেশের সামগ্রিক ইতিহাসকে সঠিকভাবে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে কখনো সহায়ক ভূমিকা পালন করে না।

পিয়ের গত বছর এবং চলমান বছরেও লেখকের পরিদর্শনের সুযোগ হয়েছে। ওদের যত্নশীলতা লক্ষণীয়। সবচেয়ে বড় বিষয় এদের জাতীয় এবং ঐতিহাসিক স্থাপনাতে কখনো সরকারের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না করা। আমরাও আরেকটু যত্নশীল হতে পারি। নিজেদের দেশের ঐতিহ্য এবং ইতিহাসকে শুদ্ধভাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে পৌঁছে দিতে আমাদের সংস্কার এবং সংরক্ষণের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে পারি। 

Comments

The Daily Star  | English

‘We don’t have Aladin’s lamp to suddenly lower commodity prices’

Commerce adviser says after meeting with Turkish trade minister

1h ago