বিমানকে ‘স্মার্ট এয়ারলাইনস’ করার পরিকল্পনা
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিম জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'স্মার্ট বাংলাদেশ' ভিশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে 'স্মার্ট এয়ারলাইনস' করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিমান।
আজ মঙ্গলবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, 'আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের আসন্ন যুগে বিমানকে স্মার্ট এয়ারলাইনস হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি নিয়েছি। বিমানকে এশিয়ার শীর্ষ ১০টি এয়ারলাইনসের মধ্যে আনতে এবং ধীরে ধীরে এশিয়ার শীর্ষ ৩টি বিমান সংস্থায় উন্নীত করতে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।'
তিনি জানান, ইতোমধ্যে নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে রুট সম্প্রসারণ এবং লক্ষ্য বাস্তবায়নে পাইলটসহ সব পর্যায়ে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিসহ কিছু কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
'এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে সুশাসন, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। যা বিমানের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন স্তর পর্যন্ত নিশ্চিত করা হবে। কেউ যদি ভালো কাজ করেন পুরস্কৃত করা হবে। আর কেউ যদি অন্যায় কিছু করেন তাহলে শাস্তি দেওয়া হবে,' বলেন বিমানের এই শীর্ষ কর্তা।
তিনি বলেন, বিমান নিজস্ব উড়োজাহাজ দিয়ে এ বছরের হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। হজ ফ্লাইটের জন্য আমরা কোনো উড়োজাহাজ ইজারা নিব না।
'বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সফলভাবে 'সি' চেক পরিচালনা করছে এবং প্রতিটি 'সি' চেকে ২০ লাখ মার্কিন ডলার সাশ্রয় হয়। যা একটি উড়োজাহাজের সেবা ও কার্যকারিতার পৃথক সিস্টেমের বিস্তৃত পরীক্ষা।'
সম্প্রতি ঢাকা বিমানবন্দরে বিমানের হ্যাঙ্গারে মোট পাঁচটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারের 'সি' চেক সফলভাবে পরিচালনা করায় মোট ২০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
এছাড়া যাত্রীদের অনলাইন ফিডব্যাক সেবা চালু করবে বিমান ও ফ্লাইটের সময়সূচী ঠিক রাখতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'উড়োজাহাজ সংস্থাটিকে আরও যাত্রীবান্ধব করে তুলতে এবং ডিজিটাল পরিষেবা সহজতর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা ২৪ ঘণ্টার কল সেন্টার সক্ষমতা বাড়ানোর কর্মপরিকল্পনা নিয়েছি। যেন যাত্রীদের থেকে দ্রুত অভিযোগ পাওয়া যায়।'
বিমানের এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, বিমান ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪৩৬ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। গত বছর ২.৮ মিলিয়ন যাত্রী বহন করে ৭৪ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে লোড ক্যাপাসিটির ৭৭ শতাংশ অর্জন করেছে বিমান।
বর্তমান বিমানবহরে ১৮টি নিজস্ব উড়োজাহাজসহ ২১টি উড়োজাহাজ আছে এবং ২০টি আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল করে।
Comments