দাবি পূরণ না হওয়ায় এনটিআরসিএ নিবন্ধিতদের শাহবাগ মোড় অবরোধ

দাবি আদায়ের টানা ২০০ দিন শাহবাগ পাবলিক লাইব্রেরির সামনে অবস্থান কর্মসূচী (একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য) পালনের পর এবার শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছেন প্যানেল প্রত্যাশী বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিবন্ধিতরা।
ছবি: স্টার

দাবি আদায়ের টানা ২০০ দিন শাহবাগ পাবলিক লাইব্রেরির সামনে অবস্থান কর্মসূচী (একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য) পালনের পর এবার শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছেন প্যানেল প্রত্যাশী বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিবন্ধিতরা।

রাস্তা অবরোধ করে রাখায় কারওয়ান বাজার থেকে মৎস্যভবনমুখী রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ আছে।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরতরা শাহবাগ বারডেম হাসপাতালের সামনে রাস্তায় অবস্থান নেন। এসময় পুলিশ তাদেরকে রাস্তায় থেকে তুলে দেওয়ার চেষ্টা কেরে। তারা না উঠলে পুলিশ কয়েকজনের ওপর হামলা করে বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা।

সড়কে অবস্থান নিয়ে তারা 'সনদ যার, চাকরি তার', 'প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগ চাই', 'প্যানেল নিয়ে দুর্নীতি, মানি না, মানবো না', 'গণবিজ্ঞপ্তির নামে প্রহসন, মানি না মানবো না' ইত্যাদি বলে শ্লোগান দিতে থাকেন।

এনটিআরিসএ নিবন্ধনধারী কামরুল ইসলাম বলেন, 'আমরা দীর্ঘদিন ধরে শাহবাগে সনদধারীদের চাকরি দাবিতে গণঅনশন করে আসছি। কিন্তু আমাদের দাবিকে তোয়াক্কা না করে আবারও গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দাবি প্রথম প্যানেল থেকে ক্রমানুসারে সবাইকে চাকরি দিতে হবে। এর আগে গণবিজ্ঞপ্তির নামে কোনো প্রহসন আমরা মেনে নেবো না।'

আন্দোলনকারীদের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- আবেদনে সকল নিবন্ধনধারী চাকরি প্রত্যাশীদের প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে; সকল নিবন্ধনধারীদের স্ব স্ব নীতিমালায় নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে এবং ইনডেক্সধারীদের গণবিজ্ঞপ্তির অন্তর্ভুক্ত না করে আলাদা বদলির ব্যবস্থা করতে হবে।

চাকরি প্রত্যাশী এক নারী বলেন, চাকরির আশায় একেক প্রার্থী গড়ে ১০০ আবেদন করেছেন। কিন্তু অনেকে নিয়োগ পাননি। এখনো বহু শিক্ষক পদ শূন্য আছে। সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার প্যানেল করে শিক্ষক নিয়োগের বিকল্প নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮৫ হাজার পদ এখনো খালি আছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

গত ৫ জুন প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে শাহবাগ জাতীয় গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সামনে গণ-অনশন শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।

 

Comments