আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ৫ নম্বর আসামি নূর মোহাম্মদ 

‘শেখ মুজিব বললেন, জীবনের শেষ রক্ত দিয়ে আপনাদের সহযোগিতা করব’

‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য’ (যা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হিসেবে পরিচিত) মামলার ৫ নম্বর আসামি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ। যিনি নূর মোহাম্মদ ক্যাপ্টেন বাবুল নামে বেশি পরিচিত।
নূর মোহাম্মদ ক্যাপ্টেন বাবুল। ছবি: স্টার

'রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য' (যা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হিসেবে পরিচিত) মামলার ৫ নম্বর আসামি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ। যিনি নূর মোহাম্মদ ক্যাপ্টেন বাবুল নামে বেশি পরিচিত।

ছিলেন ৯ নম্বর সাব সেক্টরের (বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল) যুদ্ধকালীন কমান্ডার। ফরিদপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার নূর মোহাম্মদ।

সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে জীবন ও যুদ্ধকালীন সময়ের বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।

নূর মোহাম্মদ মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেরার কুমারভুক গ্রামে ১৯৩৪ সালের ২ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন তমিজউদ্দিন ও রাবেয়া খাতুনের ৫ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়।

তার বয়স যখন মাত্র ৮ তখন মারা যান তাঁর মা। ১৯৭২ সালে হজ্ব করে ফেরার পথে জাহাজে মারা যান বাবা তমিজউদ্দিন।

১৯৪২-৪৩ সালে কাপড়ের ব্যবসার সূত্রে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ফরিদপুরে চলে আসেন বাবা তমিজউদ্দিন। নূর মোহাম্মদ ভর্তি হন ফরিদপুরের হিতৈষী উচ্চ বিদ্যালয়ে। ১৯৫২ সালে ফরিদপুর জিলা স্কুলে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় 'জয়েন দ্যা নেভি, সি দ্যা ওয়াল্ড'-এ শ্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়ে যোগ দেন নৌ বাহিনীতে। চলে যান করাচি।

নেভিতে যোগ দিয়েও পড়াশুনা চালিয়ে যান তিনি। ১৯৫৪ সালে মেট্রিক পাশ করেন, পরে আর পড়াশোনা করেননি। বাংলা ভাষার পাশাপাশি উর্দু ও পাঞ্জাবি ভাষা শিখেছেন তিনি।

করাচির পি এম এস বাহাদুর নামে নৌবাহিনীর একটি প্র্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে তিনি দেখেন পশ্চিমারা বাঙালি বলে তাদের হেয় জ্ঞান করে, কথায় কথায় কটাক্ষ করে 'শালা বাঙালি, হিন্দুর জাত' বলে।

পি এম এস বাহাদুর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ শেষ করে জাহাজে ওঠেন। জাহাজে কিছুদিন চাকরি করেন। এরপর গেরিলা ট্রেনিংসহ বিভিন্ন ট্রেনিং নেন। চাকরিকালীন অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন তিনি। গিয়েছেন ইরান, শ্রীলংকা, মায়ানমার, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইনসহ আরও অনেক দেশে।

নৌবাহিনীতে থাকা অবস্থায় পশ্চিমাদের শোষণের কথা জানতে পারেন তিনি।

নূর মোহাম্মদ বলেন, 'তখন জাতীয় বাজেটের ৭৫ ভাগ বরাদ্দ হতো সেনাবাহিনীর পেছনে। এর মাত্র ৩৭ পয়সা বরাদ্দ দেওয়া হতো পূর্ব পাকিস্তানের জন্য। ১৯৬২ সালে ছাউনির গেরিলা ইউনিটে থাকার সময় আমাদের মধ্যে উপলব্ধি হয় যে স্বশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করতে হবে। দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে আর থাকা যায় না। বাঙালিরা উৎপাদন করবে পশ্চিমারা ভোগ করবে- এ অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না।'

তখন করাচির পি এন হিমালয় ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে বাঙালিদের নেতৃত্ব দিতেন লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন, সুলতানউদ্দিন আহমেদ, নূর মোহাম্মদ, স্টুয়ার্ড মজিবর রহমান, হাবিলদার আজিজ ও হাবিলদার দবিরউদ্দিন।

১৯৬৪ সালে তারা সিদ্ধান্ত নেন তাদের একক প্রচেষ্টায় কিছুই করা যাবে না, সঙ্গে একজন রাজনৈতিক নেতা প্রয়োজন। তাদের মাথায় মাওলানা ভাসানী ও শেখ মুজিবের নাম আসে।

এরই মধ্যে তারা জানতে পারেন শেখ মুজিব করাচি আসবেন এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মেয়ে আখতার সলেমানের করাচির লাকমো হাউসে থাকবেন।

একদিন বিকেলে লো. কর্ণেল মোয়াজ্জেম, সুলতানউদ্দিন, নূর মোহাম্মদ, স্টুয়ার্ড মুজিব আখতার সলেমানের বাড়িতে গিয়ে শেখ মুজিবের সঙ্গে দেখা করেন।

'আমরা শেখ মুজিবকে বলি, "আমরা চাই পাকিন্তান থেকে মুক্ত হয়ে পূর্ব পাকিস্তান এক ভাবে চলুক।" শেখ মুজিব আমাদের জড়িয়ে ধরলেন। আবেগঘন কন্ঠে বললেন, আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। আমার জীবনের শেষ রক্ত দিয়ে আপনাদের সব প্রকার সহযোগিতা করবো।'

'এরপর আমরা সকলে কোড নাম ব্যবহার করা শুরু করি। শেখ মুজিবের কোড নাম হয় 'পরশ', মোজাম্মেলের 'আলো', সুলতানউদ্দিনের 'কামাল', নূর মোহাম্মদের 'সবুজ', সিএসপি আহমেদ ফজলুর 'তুষার', স্টুয়ার্ড মুজিবের 'মুরাদ', আমীর হোসেনের নাম হয় 'উল্কা'। পরে ৫ জনকে নিয়ে সুপ্রিম কমান্ড কাউন্সিল গঠন করা হয়,' বলেন তিনি।

'এই গ্রুপের সঙ্গে ১৯৬৫ সালে ঢাকায় তাজউদ্দিন আহমেদের বাসায় সভা হয়। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় এ অঞ্চলের লোকদের ধারণা হয় আমরা অসুরক্ষিত। এ প্রেক্ষাপটে ১৯৬৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি লাহোরে সর্বদলীয় সভা হয়। ওই সর্বদলীয় সভায় ৬ দফা স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাব পেশ করেন শেখ মুজিব। এ প্রস্তাবে ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া লোকরা ২ ভাগ হয়ে যান। পশ্চিম পাকিস্তানী নেতারা বলা শুরু করেন আজ থেকে পাকিস্তান ২ ভাগ হয়ে গেল। আইয়ুব খান বলেন, 'সিক্স পয়েন্ট ইজ নাথিং বাট ল্যাঙ্গুয়েজ অব উইপেন'।

'২৩ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবের সঙ্গে মোয়াজ্জেমের করাচির বাড়িতে গোপন সভা হয়। আমি (নূর মোহাম্মদ) ওই সভায় যোগ দেই। আলাপ হয় নতুন লোক রিক্রুমেন্টের। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয় আরব সাগর তীরে মনরা আইল্যান্ডে। শেখ মুজিবের কাছে আগ্রগতি তুলে ধরা হয়। আমরা শেখ মুজিবকে বলি, "আপনি যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হয়ে যাবেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর আপনার নির্দেশনা কার মাধ্যমে পাবো সে রকম একজন ঠিক করে দেন। শেখ মুজিব চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মানিক চৌধুরীর কথা জানান। বলেন, "উনি যোগাযোগ করবেন তোমাদের সাথে আমার বার্তা পৌঁছে দিতে।"'

১৯৬৬ সালের জুন মাস থেকে শেখ মুজিব খুলনা থেকে ৬ দফার পক্ষে জনমত গঠনের জন্য সফর শুরু করেন। পরে যশোরে সভার পর শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

'১৯৬৭ সালের ৯ ডিসেম্বর আমীর হোসেন (উল্কা) বিশ্বাসঘাতকতা করেন। এরপর থেকে একে একে আমাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আমির হোসেন নিজেও গ্রেপ্তার হন,' বলেন তিনি।

এর আগে ১৯৬৮ সালের জানুয়ারি ১৯ তারিখে শেখ মুজিবকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। তবে জেল গেট থেকে তাকে সেনাবাহিনী আটক করে ঢাকা ক্যন্টনমেন্টে নিয়ে যান।

১৯ জুন 'রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য' মামলা শুরু হয়। এতে শেখ মুজিবকে প্রধান করে ৩৫ জনকে আসামি করা হয় এবং ১০ জনকে সাক্ষী করা হয়। সেনানিবাসে স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে এ বিচার হয়।

এই মামলার সঙ্গে আগরতলার কোনো সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'শেখ মুজিব আগে কখনও আগরতলায় গিয়েছিলেন কি না তা আমার জানা নেই। তবে আমরা নৌবাহিনীর সদস্যরা বাঙালির মুক্তির যে প্রক্রিয়া শুরু করেছিলাম সে সময়কালে শেখ মুজিব কখনও আগরতলায় যাননি। আসলে ভারত বিদ্বেষের অংশ হিসেবে জনগণকে খেপিয়ে তুলতে সংবাদ মাধ্যমের সহায়তায় আগরতলার নাম ব্যবহার করে পাকিস্তান সরকার।'

তিনি আরও বলেন, 'এরপর এ ষড়যন্ত্র মামলা নিয়ে ফুঁসে ওঠে দেশ। এ মামলা প্রত্যাহার ও শেখ মুজিবকে মুক্তির দাবিতে সারাদেশে গণ আন্দোলন শুরু হয়। নেতৃত্ব দেয় দেশের ছাত্রসমাজ। ১৯৬৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে ক্যান্টনমেন্টে গুলিতে নিহত হন সার্জেন্ট জহুরুল হক। ভোরে বাথরুমে যাওয়ার প্রস্তুতির সময় তাকে গুলি করা হয়। সার্জেন্ট জহুরুলের লাশ নিয়ে ঢাকায় মিছিল বের হয়। বিভোক্ষ সামাল দিতে পাকিস্তান সরকার ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে ২২ ফেব্রুয়ারি সব আসামিদের মুক্তি দেন। শেখ মুজিবসহ আমরা সবাই মুক্ত হই।'

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের ব্যপারে তিনি বলেন, '১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আমাদের কাছে গ্রিন সিগন্যাল বলে মনে হলো। ওইদিন আমি নিজে রেসকোর্সে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) উপস্থিত ছিলাম। এরপর ২৬ মার্চ আমি লৌহজং এসে থানা থেকে দুটি রাইফেল নিয়ে যুবকদের মধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করি।'

১৪ এপ্রিল পদ্মার চরে গিয়ে রাইফেল ফায়ারিং শুরু করেন নূর মোহাম্মদ। আগস্ট মাসে ভারতের মেঘালয় সেক্টর-২ এ যান। পরে ৯ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক মেজর এম এ জলিল তাকে ফরিদপুরে পাঠান যুদ্ধ করতে। প্রায় ১ হাজার মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে তিনি বগদা বর্ডার হয়ে দেশে প্রবেশ করেন। কাশিয়ানীর ওড়াকান্দি স্কুলে মুক্তিযোদ্ধাদের সদর দপ্তর স্থাপন করে কর্মকাণ্ড শুরু করেন।

মুক্তিযুদ্ধে নূর মোহাম্মদ ও তাঁর বাহিনী ৩ অক্টোবর ভাটিয়াপাড়া ওয়ালেস সেন্টারে হামলা চালিয়ে দখল করেন। এতে ১৯ জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। ১০ অক্টোবর শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ যুদ্ধে পাকিস্তানী বাহিনীদের পরাস্ত করেন। ১৪ অক্টোবর ডামুড্ডা যুদ্ধে জয়ন্তী নদীর পাড়ে ৬ ঘণ্টা পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তি বাহিনীর যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। এ যুদ্ধে ৬৭ জন পাকিস্তানি সৈন্য ও ৭ জন মুক্তিযোদ্ধা নিহত হন।

২৭ নভেম্বর টুঙ্গিপাড়া গিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাবা ও মায়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। ৩০ নভেম্বর হেমায়েত বাহিনীর সঙ্গে কোটালিপাড়া মুক্ত করেন। ৬ ডিসেম্বর বিনা যুদ্ধে গোপালগঞ্জ মুক্ত করেন। পরে সিদ্ধান্ত নেন ফরিদপুর মুক্ত করার। ১৭ ডিসেম্বর ফরিদপুরে পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করে।

জীবনের সবচে আনন্দময় ঘটনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, '১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি যেদিন ষড়যন্ত্র মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে জেল থেকে মুক্ত হয়েছিলাম সেদিন ছিল সবচেয়ে আনন্দের দিন।'

দুঃখের স্মৃতির বলতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে ওঠেন তিনি। বলেন, '১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর ভেদরগঞ্জ যুদ্ধে শহীদ হন আমার সহযোদ্ধা সর্দার মহিউদ্দিন। যুদ্ধের পর মহিউদ্দিনের মরদেহ নিয়ে আমিসহ কয়েকজন যোদ্ধা তার বাড়িতে যাই। বাড়ির আঙিনায় মহিউদ্দিনের লাশ রাখা হয়। সে লাশ দেখে তার ছোট একটি বাচ্চা বার বার বাবার বুকে ঝঁপিয়ে পড়ে বলতে শুরু করে, 'বাবা তোমার কি হয়েছে, তুমি চোখ মেলছো না কেন?' ওই অবুঝ শিশুটিকে আমি সান্ত্বনা দিতে পারিনি। শিশুটি জানেও না কী অমূল্য ধন সে হারিয়েছে! কিন্তু আজো ওই শিশুটির করুণ আকুতি, মুখের ছবি অভিব্যক্তি আমার মগজে ঘা মারে। ঘুমের মধ্যে আজও জেগে জেগে উঠি।'

তিনি বলেন, 'বর্তমান সরকার আমাদের অনেক সম্মান দিয়েছে। বৃদ্ধ বয়সে ২০ হাজার টাকা ভাতা করেছে। আসলে কিছু পাবো বলে আমরা মুক্তিযুদ্ধে যাইনি। পাওয়ার আশা করে যুদ্ধ করিনি। দেশকে ভালোবেসেই স্ত্রীর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যুদ্ধে গিয়েছিলাম। আমার আজও মনে আছে আমার স্ত্রীও আমাকে যুদ্ধে যেতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন। তিনি আমাকে সেদিন পেছনে ডাকেননি।'

জীবনে কোনো আক্ষেপ আছে কী না জানতে চাইলে বলেন, 'যে লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ৬ দফা দিয়েছিলেন, সব মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য মুক্তিযুদ্ধের পর সংবিধানে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা সন্নিবেশন করেছিলেন তা আজ ভূলন্ঠিত। বাংলাদেশ আজ দুর্নীতিতে ভাসছে। সামাজিক পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে।'

ফরিদপুর শহরের ১ নম্বর গোয়ালচামট মহল্লার বাড়িতে বসবাস করেন নূর মোহাম্মদ। নিজের প্রচেষ্টায় তিনি সে বাড়ির দোতালার একটি কক্ষে গড়ে তুলেছেন একটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক জাদুঘর। এ জাদুঘরে তার নিজের সহ বহু মুক্তিযোদ্ধার দুর্লভ ছবি রয়েছে। রয়েছে ওই সময় জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে নেতৃত্বদানকারী মুক্তিযোদ্ধা সংগঠকদের ছবি।

নূর মোহাম্মদ ৪ মেয়ে ও ১ ছেলের বাবা। ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম মারা যান।

তিনি বলেন, 'আমার বয়স হয়েছে। শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বেঁধেছে। এ শরীর নিয়ে আর বেশিদিন হয়তো বাঁচবো না। তাই আমার সংগ্রহশালাটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিজ হাতে গড়া এই জাদুঘরটি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে স্থানান্তর করে যেতে চাই।'

Comments

The Daily Star  | English

Political parties want road map to polls

Leaders of major political parties yesterday asked Chief Adviser Professor Muhammad Yunus for a road map to the reforms and the next general election.

1h ago