যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছেন ২৪ রোহিঙ্গা

রোহিঙ্গা ক্যাম্প
রোহিঙ্গা ক্যাম্প। স্টার ফাইল ফটো

রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে ২৪ জন রোহিঙ্গা আজ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

রোহিঙ্গাদের এই দলটি সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসনের জন্য চিহ্নিত ৬২ জনের একটি অংশ, বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।

ইউএস ব্যুরো অফ পপুলেশন, রিফিউজিস অ্যান্ড মাইগ্রেশনের মার্কিন সহকারী সেক্রেটারি জুলিয়েট ভালস নয়েস বাংলাদেশে পাঁচ দিনের সফর শেষ করার একদিন পর এই পুনর্বাসন শুরু হলো।

তার সফরের সময় নয়েস বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র আরও রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করবে তবে তিনি কোনো পরিসংখ্যান উল্লেখ করেননি।

তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকারের গণহত্যার কারণে রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত হয়েছে, নিরাপদ ও টেকসই উপায়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব না হওয়া পর্যন্ত সমাধানের উপায় খোঁজার সময় এসেছে।

নয়েস বলেন, রোহিঙ্গারা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে সমাধান চায় তা হলো তাদের দেশে ফিরে যেতে পারা।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের সাথে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ লোকদের চিহ্নিত করতে এবং তাদের জন্য তৃতীয় দেশের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছে।

রোহিঙ্গা ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) একজন কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকির মুখে থাকা রোহিঙ্গাদের ইউএনএইচসিআর চিহ্নিত করেছে। তারপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুনর্বাসনের জন্য তাদের বিদেশে যেতে বহির্গমন পারমিট ইস্যু করার আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পরিচয় যাচাই করে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে কানাডা রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর পরিবারের প্রায় ৩৫ জন সদস্যকে পুনর্বাসন করে।

মার্কিন কর্মকর্তা নয়েসের সঙ্গে বৈঠকের পর মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, সরকার চায় যুক্তরাষ্ট্র ২০১৬ সালের আগে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করুক, কারণ মিয়ানমার সরকার তাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি নয়।

২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির অধীনে, মিয়ানমার ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছিল। তাদের সংখ্যা দশ লাখের বেশি। আর এর আগে যারা দেশটি থেকে পালিয়ে এসেছিল তাদের সংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার।

শরণার্থী ইস্যু নিয়ে কাজ করা বিশ্লেষকরা বলছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশসহ এই অঞ্চল থেকে শরণার্থী পুনর্বাসনের কথা বললেও আগের রেকর্ড থেকে বোঝা যায় সংখ্যাটি খুবই কম।

২০২২ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত শরণার্থী পুনর্বাসন সংক্রান্ত কংগ্রেসে জমা দেওয়া এক প্রতিবেদন অনুসারে, গত এক দশকে ৯ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রাথমিকভাবে মালয়েশিয়া থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসিত হয়েছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অল্প সংখ্যক রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করা সত্যিই সহায়ক নয় কারণ এটি একটি বড় ফ্যাক্টর তৈরি করতে পারে এবং যারা এখন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রয়েছে তারাও উন্নত দেশে পুনর্বাসনের আশায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands. 

2h ago