বঙ্গবন্ধু টানেল যোগাযোগের নতুন মাত্রা তৈরি করবে: চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দেশের প্রথম টানেল নির্মাণের ফলে কক্সবাজার, মাতারবাড়িসহ দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে এগিয়ে চলা অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগের নতুন মাত্রা তৈরি হবে বলে মনে করেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ'র সভাপতি মাহবুবুল আলম।
যোগাযোগের এই নতুন মাধ্যমকে কেন্দ্র করে খুব দ্রুত কর্ণফুলীর ওপারে দক্ষিণ চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোতে বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মুক্ত হবে। পাশাপাশি ধীরে ধীরে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশের ব্যাপক অঞ্চল ঘিরে শিল্পায়ন ও পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে জানান এই ব্যবসায়ী নেতা।
নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের ১টি টিউবের উদ্বোধন উপলক্ষে আজ বাংলাদেশ সেতু বিভাগের উৎসব অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টায় ভার্চুয়ালি এই উৎসবে অংশ নেবেন।
বিদ্যুৎ সঞ্চালন এবং যান্ত্রিক বিভাগের কিছু কাজ শেষে আগামী জানুয়ারি মাসের শেষ নাগাদ টানেলের ২টি টিউব যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
চেম্বার সভাপতি বলেন, টানেল চালু হলে কর্ণফুলীর ওপারে দক্ষিণ-চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলা বিনিয়োগের নতুন কেন্দ্রে পরিণত হবে।
ইতোমধ্যে এসব অঞ্চলে বেশ কিছু শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেছে এবং কারখানা স্থাপনের লক্ষে জমি ক্রয় করেছে দেশের শীর্ষ স্থানীয় কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান।
মাহাবুবুল আলম বলেন, বন্দর থেকে শিল্প কারখানার কাঁচামাল আনা নেওয়া, উৎপাদিত পণ্য বন্দর এবং সারাদেশে পরিবহনের সহজ মাধ্যম হবে এই টানেল। বর্তমানের চট্টগ্রাম বন্দর এবং ভবিষ্যতের মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর থেকে আমদানি রপ্তানি পণ্য এই টানেল দিয়ে পরিবহন করা হবে।
যোগাযোগের এই নতুন রুট দ্রুত দক্ষিণ চট্টগ্রামে এবং ধীরে ধীরে কক্সসবাজার পর্যন্ত বিপুল এলাকা জুড়ে শিল্প কারখানা গড়ে ওঠার নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে তিনি আশা করেন।
এশিয়ান হাইওয়েতে প্রবেশ করবে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম হয়ে উঠবে সত্যিকার অর্থে অর্থনৈতিক করিডোর। তবে টানেলটির সর্বোচ্চ সুফল অর্জনের জন্য চার লেনের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে ৮ লেনে উন্নীত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
Comments