তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে আবারও গোলাগুলি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত। ছবি: স্টার

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অংশে আজ শুক্রবার আবারও গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

তারা জানান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌসসহ স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনের পর থেকে পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত ছিল।

তবে আজ আবার গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়ার বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ সকাল সাড়ে ১০টা এবং বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছি। এতদিন মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে গোলাগুলি চললেও, আজ তুমব্রু এলাকায় ৩৯ ও ৪০ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এতে সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয়দের মধ্যে আবারও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।'

ঘুমধুম ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের (তুমব্রু) সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টু ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এতদিন মিয়ানমারের অংশে অনেক দূর থেকে মাঝেমধ্যে গুলির আওয়াজ শোনা গেলেও, এবার আমাদের সীমান্তের ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলার এলাকায় অনেকক্ষণ ধরে গুলির আওয়াজ পাওয়া গেছে।'

এ ঘটনায় বিজিবি কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মেহেদী হাসান কবির ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সীমান্ত এলাকায় আমরা সার্বক্ষণিক সতর্কাবস্থায় আছি। আজ সারাদিন আমি নিজেই তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় ছিলাম।'

'গুলির শব্দটা আসলে আমাদের সীমান্তবর্তী এলাকার নয়, মিয়ানমার সীমান্তের অনেক ভেতর থেকে আসছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই', বলেন তিনি।

এই বিজিবি কর্মকর্তা জানান, গতকাল বিকেলে মিয়ানমার থেকে চোরাকারবারিদের পাচার করে আনা ২৪টি মহিষ জব্দ করেছি। আগামীকাল সেগুলোকে কাস্টমস অফিসে হস্তান্তর করা হবে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Kuet students set fire to symbolic VC chair

The ongoing protests stem from a clash between two student groups on February 18

47m ago