উগান্ডায় হাছান মাহমুদের সঙ্গে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুয়ের বৈঠক

হাছান মাহমুদ ও থান সুয়ে। ছবি: সংগৃহীত

জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) শীর্ষ সম্মেলন এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর জোট জি-৭৭-এর সাউথ সামিটে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিতে উগান্ডায় আছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ন্যাম সম্মেলনের সাইডলাইনে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য বিষয় নিয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আজ এই কথা জানানো হয়েছে।

উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে স্থানীয় সময় শনিবার সকালে বক্তব্য দেন হাছান মাহমুদ। তিনি বিশ্বের সকল বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি এবং শান্তির সংস্কৃতিকে সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া বক্তৃতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর শান্তি, উন্নয়ন ও মানবাধিকারের উত্তরাধিকার সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

হাছান মাহমুদ ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অটুট সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং তাদের জন্য ন্যায়বিচার দাবি করেন। তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর এবং তাদের সমর্থনে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবার দ্বিগুণ প্রচেষ্টার আহ্বান জানান এবং শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়তে গঠনমূলক এবং শান্তিপূর্ণ সংলাপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

ন্যামের নতুন চেয়ারম্যান উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি মুসেভেনি শুক্রবার এ শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধনের পর দুই দিনের আলোচনা শেষে 'কাম্পালা ঘোষণা' এবং ফিলিস্তিনের বিষয়ে একটি ঘোষণা গৃহীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Drug sales growth slows amid high inflation

Sales growth of drugs slowed down in fiscal year 2023-24 ending last June, which could be an effect of high inflationary pressure prevailing in the country over the last two years.

16h ago