সংকট মেটাতে সিইপিজেডে কর্ণফুলীর পানি শোধনাগার প্রকল্প উদ্বোধন
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকায় (সিইপিজেড) ১৪৮টি কারখানার পানির সংকট মেটাতে পানি শোধনাগার প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে কর্ণফুলী নদীর পানি পরিশোধন করে দৈনিক পাওয়া যাবে ৩০ লাখ গ্যালন পানি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মো. জিয়াউর রহমান।
এ সময় বেপজা চেয়ারম্যান বলেন, 'চট্টগ্রাম ইপিজেড প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই এই অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট ছিল। দিন দিন এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে। প্রতিদিন ৬০ লাখ গ্যালন পানির চাহিদা থাকলেও ওয়াসা থেকে খুব সামান্যই পাওয়া যেত। ফলে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর জেনেও ফ্যাক্টরিগুলোকে গভীর নলকূপ স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।'
তবে নতুন পানি পরিশোধনাগারটি চালু হওয়ার পরে পানির সমস্যা আর থাকবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সিইপিজেডের কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রাম ইপিজেডে সুপেয় পানির দৈনিক চাহিদা ৮০ লাখ গ্যালন। চট্টগ্রাম ওয়াসা থেকে পাওয়া যায় ২ লাখ গ্যালন। ১১২টি গভীর নলকূপ থেকে আসে আরও প্রায় ৩০ লাখ গ্যালন। কর্ণফুলী ইপিজেড থেকে সরবরাহ করা হয় ২৮ লাখ গ্যালন পানি। তারপরও ঘাটতি থেকে যায়। দীর্ঘদিনের এই পানি সংকট সমাধানে বেপজা কর্তৃপক্ষ পানি শোধনাগার প্রকল্প চালু করেছে।
ঢাকাভিত্তিক সিগমা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান 'কর্ণফুলী ওয়াটার লিমিটেড' ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যেই সিইপিজেডে পরীক্ষামূলক পানি উৎপাদন শুরু করেছে। শুরুতে দিনে কর্ণফুলী নদীর ৩০ লাখ গ্যালন পানি পরিশোধন করে ইপিজেডের কারখানাগুলোতে সরবরাহ করা হবে বলে জানা গেছে।
সিগমা গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (প্রকল্প) প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, কর্ণফুলী নদীর পারে পতেঙ্গা সাইলো জেটিসংলগ্ন স্থানে পাম্প স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে পানি এনে ইপিজেডের ট্রিটমেন্ট প্লান্টে পরিশোধন করে সরবরাহ করা হচ্ছে। লবণাক্ততা এড়াতে ভাটার সময় কর্ণফুলী নদীর উপরিভাগের পানি ট্রিটমেন্ট প্লান্টে সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া কর্ণফুলী ইপিজেডে ২০০৮ সালে স্থাপিত ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকেও পানি সরবরাহ করা হবে।
অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্টে প্রকল্পটির আদ্যপান্ত তুলে ধরেন সিগমা গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সৈয়দ এ রেজা। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মশিউদ্দিন বিন মেজবাহ।
Comments