'খাদ্যদ্রব্য রপ্তানি বন্ধের আগে বাংলাদেশকে আগাম বার্তা দেবে ভারত'

ভারত সফর নিয়ে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চিনি, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য রপ্তানি বন্ধের আগে বাংলাদেশকে আগাম বার্তা দিতে ভারত সরকার পদক্ষেপ নেবে।

আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্যে এই কথা বলেন।

ভারত থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তির ব্যাপারে বেশ কিছু অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কুশিয়ারা নদীর পানিবণ্টনে চুক্তি, সীমান্তে প্রাণহানির সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনা, ভুটানের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন, নদী দূষণ প্রতিরোধে যৌথ উদ্যোগের সঙ্গে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য আমদানি নিয়ে কথা বলেন তিনি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারত সফর করেন শেখ হাসিনা। তার এ সফরে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

এর পাশাপাশি দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায়, তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের পাটজাত পণ্যের উপর আরোপিত অ্যান্টি-ডাম্পিং ডিউটি প্রত্যাহার, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দ্রুত প্রত্যাবাসন বিষয়ে সহযোগিতা, ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটান হতে বিদ্যুৎ আমদানির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভিন্ন নদী কুশিয়ারা থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি বণ্টনে সমঝোতা স্মারকের ফলে বাংলাদেশে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা পাওয়া যাবে।

এ ছাড়া পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, সাইবার নিরাপত্তা, মহাকাশ প্রযুক্তি, গ্রিন ইকোনমি, সুনীল অর্থনীতি, সাংস্কৃতিক ও জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ বৃদ্ধিসহ প্রভৃতি ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়েও ঐকমত্য হয়েছে।

তিনি বলেন, 'কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব এবং বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলে বাধার কথা মাথায় রেখে ভারত হতে আমদানিকৃত নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য যেমন, ধান, গম, চিনি, পেঁয়াজ, আদা, রসুন ইত্যাদি পণ্যের অনুমানযোগ্য সরবরাহের জন্য আমি ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছি।'

পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের শিলিগুড়িতে অবস্থিত নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড হতে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর পর্যন্ত ১৩১.৫৭ কিলোমিটার (বাংলাদেশ অংশে ১২৬.৫৭ কিলোমিটার এবং ভারতের অংশে ৫ কিলোমিটার) পাইপলাইন ভারত সরকারের অর্থায়নে নির্মাণ করা হচ্ছে।

পাইপলাইন নির্মাণের ফলে কম খরচে দ্রুত জ্বালানি তেলের পরিবহন করা যাবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রেলওয়ের মাধ্যমে ভারত হতে বার্ষিক ৬০-৮০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করা হয়। পাইপলাইন নির্মাণ হলে বার্ষিক প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করা সম্ভব হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Fire breaks out at Secretariat building no 7

A fire broke out at the Secretariat building number 7 in the capital's Segunbagicha area early today. ..At least 11 firefighting units are working to control the fire. ..According to Prothom ALo, fire service received information about the fire at 1:52am. Firefighters arr

4h ago