প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা না হওয়ায় মমতার ক্ষোভ

মমতা
মমতা ব্যানার্জি। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে আমন্ত্রণ না জানানোয় ভারত সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

মমতা বলেছেন, 'বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার চমৎকার সম্পর্ক। কিন্তু তার সফরে (কেন্দ্র) আমাকে আমন্ত্রণ জানায়নি।'

আজ বৃহস্পতিবার কলকাতার নেতাজি সুভাষ ইনডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি বিশেষ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।

তার সঙ্গে বিদেশি অতিথিদের সাক্ষাতের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কেন 'চিন্তিত' থাকে বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

মমতা বলেন, 'আমি পররাষ্ট্র বিষয়ক বা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে চাই না। কিন্তু আমি লক্ষ্য করেছি যে যখনই আমাকে কোনো দেশ আমন্ত্রণ জানায়, হয় তখনই কেন্দ্র আমাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। আমি জানতে চাই কেন কেন্দ্রীয় সরকার আমার বিদেশিদের সঙ্গে দেখা করা নিয়ে এত চিন্তিত?'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ভারতে তার চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষ করছেন।

৬ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনিও মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা হচ্ছে না বলে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন।

এ বছরের জুলাই মাসে শেখ হাসিনা মমতাকে একটি চিঠি লিখেছিলেন এবং সেপ্টেম্বরে তার দিল্লি সফরের সময় তার সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।

তবে ভারত সরকারের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অবশ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে মমতার সমালোচনাকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, অন্য দেশের সফররত অন্য দেশের প্রধানের কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কেন্দ্রীয় সরকার মুখ্যমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানায় না। 

তিনি বলেন, 'ভারত সরকার এ ধরনের সফরে কোনো মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানায় না। কখনো রাষ্ট্রীয় ভোজ বা অন্য কিছু আনুষ্ঠানিক আয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়, তবে শেখ হাসিনার এই সফরে এমন কোনো আয়োজন ছিল না।'

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তখন দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বাস সার্ভিস চালু হওয়ার উপলক্ষ্য ছিল।

 

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

1h ago