প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় মমতা কি দিল্লি আসবেন

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী সপ্তাহে ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরে যাচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে এ সফরের কথা জানিয়েছে। 

তবে এ সফর চলাকালে দুই দেশের প্রতিনিধিদলের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নয়াদিল্লিতে শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কি না, জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি এখনো ভারতের প্রতিনিধিদলে কে কে থাকছেন, তা জানেন না।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'আমি এখন পর্যন্ত প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকে কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর যোগদানের কথা শুনিনি। সফরের আরও কয়েক দিন বাকি আছে। পরে আরও কিছু জানতে পারলে জানাতে পারব।'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের জুলাই মাসে মমতা ব্যানার্জিকে লেখা চিঠিতে সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লি সফরের সময় তার সঙ্গে দেখা করার আশা প্রকাশ করেছিলেন।

১২ জুলাই লেখা ওই চিঠিতে তিনি বলেছিলেন, 'আমি আশা করি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারত সফরের সময় আপনার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হবে।'

প্রধানমন্ত্রী তার চিঠিতে 'দুই বাংলার' ভাষা ও সংস্কৃতির অভিন্নতা এবং 'আদর্শগত সম্পর্ক' উল্লেখ করে বলেন, 'বিদ্যমান সম্পর্ককে সুসংহত করতে একসঙ্গে কাজ করার বিকল্প নেই'

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ঢাকা সফর না করায় ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি ঝুলে আছে। শেখ হাসিনার এবারের সফরে এই চুক্তি সই হতে হলে মমতাকে ভারতের প্রতিনিধিদলে থাকতে হবে।

জুলাইয়ে শেখ হাসিনা চিঠি পাঠালে এবারের সফরে মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে এবং আলোচনায় তিস্তা চুক্তি আসতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল।

সর্বশেষ ২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের সময় মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সে সময় মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টনের অসুবিধা ব্যাখ্যা করেছিলেন। 

পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবাহিত অন্যান্য ছোট নদীগুলোর পানি বণ্টন হতে পারে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা সে সময় শেখ হাসিনাকে জানিয়েছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

2h ago