তাৎক্ষণিক মন্তব্য

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিব্রতকর

আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারত সরকারকে সেটা করার অনুরোধ করেছি।’

আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, 'আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারত সরকারকে সেটা করার অনুরোধ করেছি।'

তিনি কীভাবে এ কথা বললেন? তার কি একটুও রাজনৈতিক বোধবুদ্ধি, আত্মসম্মান বা জাতি হিসেবে কোনো গৌরব নেই? তিনি কি মনে করেন, এ ধরনের কথা বলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কিংবা সরকারের কোনো উপকার করেছেন; তিনি নিজেও যার অংশ?

একজন বোকার পক্ষেই শুধু বুঝতে না পারার কথা যে, আসন্ন নির্বাচনে জেতার জন্য তিনি ভারতের সহায়তা চেয়েছেন। তার অনুরোধ কি এটাই বোঝায় না যে, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা নিজের যোগ্যতায় জয় লাভ করতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন? তিনি কি এই বক্তব্যের তাৎপর্য বুঝতে পেরেছেন? এখন যদি বলা হয় আগামী নির্বাচন কেমন হবে, সেটা বোঝা গেছে— তাহলে তিনি এই সমালোচনার কী জবাব দেবেন?

আব্দুল মোমেনের গতকালের বক্তব্যে তার আজ্ঞাবহ মানসিকতার প্রকাশ পেয়েছে। এবারই প্রথম নয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এর আগেও দেশের মানুষকে লজ্জায় ফেলেছেন এবং দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। সবচেয়ে বিধ্বংসী কাজ যেটা হয়েছে, তা হলো তিনি প্রশ্ন তোলার সুযোগ করে দিয়েছেন, আসলে কে আমাদের সরকারকে ক্ষমতায় আনে— দেশের মানুষ, নাকি বিদেশি শক্তি?

মাহফুজ আনাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দ্য ডেইলি স্টার

অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান

Comments

The Daily Star  | English

Army given magistracy power

In order to improve law and order, the government last night gave the power of magistracy to commissioned army officers for 60 days.

24m ago