ভিক্ষা না চেয়ে বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবো: প্রধানমন্ত্রী
অর্থনীতি সচল রাখতে দেশের উর্বর মাটি ব্যবহার করে নিজেদের খাবার নিজেদের উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'কারো কাছে ভিক্ষা চেয়ে চলবো না। বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবো।'
তিনি আরও বলেন, 'এক ইঞ্চ জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। মূল্যস্ফীতি এত বেশি যে অন্য দেশ থেকে এখন পণ্য পাওয়া কষ্টকর।'
আজ রোববার সকালে গণভবনে থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে পিরোজপুর জেলায় কঁচা নদীর ওপর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর নির্মিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সেতু চালু হওয়ার ফলে পিরোজপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের পর্যটন শিল্প আরও অনেক উন্নত করার শ্রেষ্ঠ সুযোগ রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চল সবচেয়ে অবহেলিত ছিল। এখন আর সেই অবস্থায় নেই। ওই এলাকার মানুষ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে। তাদের কষ্ট করতে হবে না।
বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত দেশগুলো বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার চেষ্টা করছে। পানির ব্যবহার সীমিত করে দিচ্ছে। ইউরোপে যেন পানি ও বিদ্যুতের অতিরিক্ত ব্যবহার না করা হয় সে জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির খরচ বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'একদিকে করোনার প্রভাব অন্যদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে খাদ্যশস্য প্রাপ্তির খরচ বেড়েছে। আমরা বিদেশ থেকে জাহাজে করে যে পণ্য আনি সেই জাহাজের ভাড়া বেড়ে গেছে।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'আমাদের যুব সমাজকে বলবো চাকরির পেছনে না ছুটে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে হবে। উদ্যোক্তা হতে হবে, যাতে করে আপনারা অন্যজনকে চাকরি দিতে পারেন।'
'শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছিলাম। কিন্তু, যুদ্ধের কারণে কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হবেন, সাশ্রয়ী হবেন। ঘরে না থাকলে সুইচ বন্ধ করে দিবেন। এতে আপনাদেরও বিল কম আসবে এবং দেশেরও উপকার হবে', যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
Comments