ফরিদপুর-৩ আসনে আ. লীগের শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল
ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে শুনানি শেষে এই রায় দেয় ইসি।
শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেছিলেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম (এ কে) আজাদ। তার আপিল মঞ্জুর করা করায় শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল হলো।
শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক—এমন অভিযোগ তুলে তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে গত ৮ ডিসেম্বর আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। আজাদের পক্ষে তার আইনজীবী মো. গোলাম কিবরিয়া ইসিতে আপিল আবেদন জমা দেন।
অন্যদিকে এ কে আজাদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে শামীম হকের করা আপিল আবেদন নামঞ্জুর করেছে ইসি। ফলে একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এ কে আজাদের প্রার্থিতা বহাল থাকছে।
আজাদের বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগ তুলেছিলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হক।
শামীম হক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এ কে আজাদ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য।
৮ ডিসেম্বর আইনজীবী মো. গোলাম কিবরিয়া সাংবাদিকদের বলেন, 'নৌকার প্রার্থী শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক। স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ তথ্য-উপাত্তসহ লিখিত অভিযোগ করা সত্ত্বেও রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম হকের মনোনয়নপত্র বাতিল না করে বৈধ ঘোষণা করেন। শামীম হক সম্প্রতি বাংলাদেশি পাসপোর্ট ইস্যু করতে ফরিদপুর পাসপোর্ট কার্যালয়ে দরখাস্ত দিয়েছেন। দরখাস্তে দ্বৈত নাগরিকত্বের ঘরে তিনি টিক মার্ক দিয়েছেন। ২৬ নম্বর কলামে অন্য দেশের নামের জায়গায় নেদারল্যান্ডস উল্লেখ করেছেন।
'একজন বিদেশি নাগরিক হওয়ায় তিনি সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হতে পারেন না। এফিডেভিটে এ তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়ন বাতিল হওয়ার কথা', বলেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে একই দিন সন্ধ্যায় শামীম হক বলেন, 'আমি নেদারল্যান্ডসের নাগরিক ছিলাম। তবে সম্প্রতি আমি ওই নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের জন্য দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। নেদারল্যান্ডসের দূতাবাস জানিয়েছে, আমার আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে।'
Comments