দ্য ‘লাকি’ থারটি-টু

আওয়ামী লীগের বিজয় দিবসের মিছিল
আওয়ামী লীগের লোগো

আসন্ন ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশ নিলেও ৩২টি আসনে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। কারণ ওই ৩২ আসন থেকে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থীরা।

যেমন: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আসন নোয়াখালী-৫ এ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি।

একইভাবে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য আমির হোসেন আমুর আসন ঝালকাঠি-২ এও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না। আসনটিতে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এই নেতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় পার্টির একজন ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) একজনসহ কেবল দুজন প্রার্থী।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত ৭৪৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা জানা যাবে আগামী ১৭ ডিসেম্বর। কারণ ওই দিনই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।

নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে ও ভোটার সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়াসে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গত ২৬ নভেম্বর তার দলের নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেন।

তবে পরে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, আওয়ামী লীগের কোনো নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চাইলে তাকে অবশ্যই দলীয় অনুমোদন নিতে হবে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৬৬টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রায় ৪০০ 'স্বতন্ত্র' প্রার্থী তাদের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর অর্থ এই আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। তবে ব্যতিক্রম ওই ৩২টি 'ভাগ্যবান' আসনে।

বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় এবং কয়েকটি 'ছোট দলের' প্রার্থীরা ওই সব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ৩২টি আসনের প্রার্থীরা এখন 'স্বস্তি' পেয়েছেন এবং সহজ জয়ের আশা করছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই, আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থীদের এমন বাকি আসনগুলো হলো—কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের টাঙ্গাইল-১ আসন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর বরিশাল-১, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ঢাকা-১, এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলামের কুমিল্লা-৯, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কুমিল্লা-১০, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের চট্টগ্রাম-৭, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর চট্টগ্রাম-৯, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর চট্টগ্রাম-১৩, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের পঞ্চগড়-২, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের মাগুরা-১, সংসদ সদস্য শেখ হেলালউদ্দিনের বাগেরহাট-১, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেনের পটুয়াখালী-১, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সিলেট-৬, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদের সিলেট-৪, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের মানিকগঞ্জ-৩, প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু বিষয়ক দূত সাবের হোসেন চৌধুরীর ঢাকা-৯, সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর মাদারীপুর-১ ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খানের মাদারীপুর-২ আসন।

একইভাবে কক্সবাজার-২, শরীয়তপুর-৩, কিশোরগঞ্জ-৪, নারায়ণগঞ্জ-৫, টাঙ্গাইল-৮, ময়মনসিংহ-৯, ভোলা-২, বগুড়া-৫, সিরাজগঞ্জ-২ ও পাবনা-৫ আসনে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা-১৫ আসনের এক নেতা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই ওই আসনগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় ওইসব আসনে নির্বাচন কম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'এটা আমাদের দলের চিন্তার বিষয় না।'

Comments

The Daily Star  | English

What if the US election ends in a Trump-Harris tie?

While not highly likely, such an outcome remains possible, tormenting Americans already perched painfully on the edge of their seats ahead of the November 5 election

1h ago