সিলেট সিটি নির্বাচন

আ. লীগ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে অভিযোগ দায়ের

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নির্বাচন কমিশনে দেওয়া তার হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সিলেট নগরীর নরসিংটিলা এলাকার বাসিন্দা একেএম আবু হুরায়রা (সাজু) রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে গত সোমবার অভিযোগ করে বলেন, আনোয়ারুজ্জামান তার হলফনামায় ভুল জন্ম তারিখ দিয়েছেন এবং তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদও সঠিক নয়।

লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আনোয়ারুজ্জামান তার জন্ম তারিখ ১ জুলাই ১৯৭০ উল্লেখ করলেও তার শিক্ষাগত সনদ অনুযায়ী তার জন্ম ১ জুলাই ১৯৭২। তিনি কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করে জন্ম তারিখ পরিবর্তনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

অভিযোগকারী আরও উল্লেখ করেছেন, আনোয়ারুজ্জামান ১৯৮৮ সালে এসএসসি পাশ করেন এবং ১৯৯০ সালে এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করার আগেই যুক্তরাজ্যে চলে যান এবং সেখানে স্থায়ী হন। তিনি পরবর্তীতে বাংলাদেশে কোনো পরীক্ষায় অংশ নেননি। তাই তার শিক্ষাগত সনদও সঠিক নয়।

অভিযোগে আনোয়ারুজ্জামান মিথ্যা তথ্য ও নথি জমা দিয়ে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ২০১০ এর ১৪ ধারা এবং দণ্ডবিধির ১৮১ ধারার অধীনে অপরাধ করেছেন বলেও দাবি করেন অভিযোগকারী।

অভিযোগ প্রসঙ্গে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, 'প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে সুবিধা আদায়ে আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমার জন্ম তারিখ আমি আনুষ্ঠানিকভাবে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে আবেদনের প্রেক্ষিতে ৫ বছর আগেই পরিবর্তন করেছি। তাছাড়া যেসব অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তা সবই মিথ্যা ও আমাকে হেয় করার উদ্দেশ্যে দেয়া হয়েছে।'

তবে এখন আর কোনো অভিযোগ আমলযোগ্য নয় এবং সাধারণ ভোটারের অভিযোগ আইনগতভাবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেও আমলযোগ্য হয় না বলে মন্তব্য করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদির।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদির বলেন, 'নির্বাচনী আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা ভোটার কোনো প্রার্থীর হলফনামার তথ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবেন না। মনোনয়ন বাছাই প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে শুধুমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা কোনো প্রতিষ্ঠান এই ধরনের অভিযোগ করতে পারে। এখন বাছাই প্রক্রিয়া, আপীল প্রক্রিয়া সবই শেষ। এখন আর এ ধরণের অভিযোগ আমলে নেওয়ার কিছু নেই।'

Comments

The Daily Star  | English
explanations sought from banks for unusual USD rates

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

2h ago