হিরো আলমের ওপর হামলার অভিযোগ নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে

হিরো আলম
মুরাদপুর এলাকায় হিরো আলম নির্বাচনী প্রচারণায় গেলে, তাদের বাধা দেয় নৌকার সমর্থকরা। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলমের (হিরো আলম) ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে।

আজ শনিবার বিকেলে নন্দীগ্রাম উপজেলার মুরাদপুর বাজার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলাকারীরা হিরো আলমের সমর্থকদের একজনের মোবাইল ফোন ও পাওয়ার ব্যাংক ছিনিয়ে নেয় এবং মোবাইল থেকে কিছু ছবি ডিলিট করে দেয় বলে অভিযোগ হিরো আলমের।

তবে পুলিশ বলছে, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে হিরো আলমের অভিযোগের সত্যতা পায়নি।

হিরো আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আমরা মুরাদপুর বাজারে প্রচারণা চালাচ্ছিলাম। তখন আওয়ামী লীগের ৫-৬ জন কর্মী চিৎকার করে বলে যে, এই এলাকায় নৌকা ছাড়া আর কেউ প্রচারণা চালাতে পারবে না।'

'তারা আমাদের কাছে এসে নৌকায় ভোট চেয়ে লিফলেট দেয়,' বলেন তিনি।

তিনি বলেন, 'হামলাকারীরা আমাকেসহ আমার লোকজনদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করে। তারা আমাদের একজনের মোবাইল ফোন ও পাওয়ার ব্যাংক ছিনিয়ে নিয়ে ছবি ও ভিডিও ডিলিট করে দেয়।'

এ সময় তিনি তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় পুলিশকে ঘটনাটি জানালে, পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

এ বিষয়ে রাত ৮টায় এক সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম বলেন, 'হামলাকারীরা নৌকার লোক। প্রতিবারই নৌকার লোকরা গণ্ডগোল করে।'

তিনি হামলাকারীদের নামও উল্লেখ করেন এ সময়। হিরো আলম বলেন, 'তারা ছিল ৫ জন-কাউসার, সাইদুর, আলম, মাহিদ ও জাহিদ। এরাই ধাক্কাধাক্কি করে।'     

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হামলাকারীরা হিরো আলমকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারতে গেলে, কয়েকজন গ্রামবাসী তাকে বাঁচায়।'

জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমগীর হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু হিরো আলমের অভিযোগের সত্যতা পাইনি।'

এ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago