মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আজমত উল্লাহর শো-ডাউন, ব্যাখ্যা চেয়েছে ইসি
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাহ খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
গত সপ্তাহে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন এবং এজন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করবে।
আজ রোববার আগারগাঁওয়ে ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এ কথা জানান।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রার্থীর সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫ জন থাকার অনুমতি থাকলেও, আজমত উল্লাহ গত ২৭ এপ্রিল এ নির্দেশ মানেননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, 'এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আজমত উল্লাহকে ঢাকায় নির্বাচন কমিশনে আসতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা যেন আচরণবিধি মেনে চলেন, সেজন্য ইসি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে পৃথক চিঠি দেবে।'
আজ ইসির বৈঠকে আজমত উল্লাহকে কারণ দর্শানো নোটিশ ও এ দুটি চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ইসি আলমগীর বলেন, 'সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের নির্বাচনী আচরণবিধি না মানার প্রবণতা আছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও অন্যান্য সূত্র থেকে এমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।'
এ জন্য ইসি এ বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি।
আজমত উল্লাহ খান প্রসঙ্গে আলমগীর বলেন, 'আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়ায় আজমত উল্লাহকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে এবং তাকে ইসিতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা করতে হবে।'
গাজীপুর সিটি নির্বাচনের সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার এ এইচ এম কামরুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজ রোববার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আতিউর রহমানের সই করা একটি চিঠিতে আজমত উল্লাহকে আগামী ৭ মে সশরীরে কমিশন কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শোডাউন করতে পারবেন না। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রার্থীর সঙ্গে ৫ জনের বেশি থাকতে পারবে না।
কিন্তু, গত ২৭ এপ্রিল গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাহ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তার সঙ্গে অন্তত ১০ নেতাকর্মী ছিলেন। এছাড়া, সড়কেও সে সময় অনেক নেতাকর্মী অবস্থান নিয়েছিলেন।
Comments