ঢাকা ৪: হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত, আওলাদ হোসেনের শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা নিতে আদেশ

সুপ্রিম কোর্ট

ঢাকা-৪ আসনের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কোনো গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি না করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম সংসদ সচিবকে অবিলম্বে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নির্বাচিত ঘোষণা করা স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেনের শপথ গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

আওলাদ হোসেনের আইনজীবী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, হাইকোর্টের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আওলাদ হোসেনের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারক এই আদেশ দেন।

তিনি বলেন, আওলাদ হোসেনকে ঢাকা-৪ আসন থেকে নির্বাচিত ঘোষণা করে ইতোমধ্যেই গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ইসি।

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে এ আসনের ১৮টি ভোটকেন্দ্রে ভোট কারচুপিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে গতকাল ঢাকা-৪-এর নির্বাচনী ফলাফলের কোনো গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি না করতে ইসিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, হাইকোর্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ১০ দিনের মধ্যে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত ও নিষ্পত্তি করার জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।

নির্বাচনে অনিয়মের বিষয়ে সানজিদা খানমের দায়ের করা অভিযোগ দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে ইসিকে।

সানজিদার করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সানজিদার আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, গত ৭ জানুয়ারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইসির কাছে দায়ের করা সানজিদার দুটি অভিযোগ অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেনের লোকজন ১৮টি ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট দেন এবং ব্যালট ভর্তি করেন, ব্যালটে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারদের স্বাক্ষর ছিল না বলে জানান তিনি।

শাহ মঞ্জুরুল আরও বলেন, অভিযোগের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইসি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

আজ শুনানিতে সানজিদার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহের হোসেন সাজু ও এবিএম আলতাফ হোসেন এবং ইসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।

Comments

The Daily Star  | English

Extend tenure of Tk 200 crore stockmarket fund, BSEC urges BB

The commission also wants the fund dedicated for each bank to be increased to Tk 300 crore

45m ago