ফরিদপুর-৩

কোনো কর্মীকেও বহিষ্কারের ক্ষমতা জেলা আ. লীগের নেই: এ কে আজাদ

এ কে আজাদ
ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এ কে আজাদ সংবাদ সম্মেলন করেন। ছবি: স্টার

ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এ কে আজাদসহ ১০ নেতাকে গতকাল অব্যাহতির নোটিশ দিয়েছে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ।

এর প্রতিবাদে আজ শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলিতে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন এ কে আজাদ। 

সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, 'অত্যন্ত দুখের সঙ্গে বলছি, বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ার চেষ্টায় ফরিদপুর-৩ আসনে ঈগলের পক্ষে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা নস্যাৎ করতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নে ফরিদপুর জুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি চিঠি ভাইরাল করার চেষ্টা করছেন। তাদের দুজনের সই করা একটি চিঠিতে আওয়ামী লীগের প্রবীণ ও ত্যাগী নেতাদের বহিষ্কারের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। যা আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের সঙ্গে কোনোভাবেই যায় না।'

এতে আরও বলা হয়, 'নেতা তো দূরের কথা আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের একজন কর্মীকে বহিষ্কার করার ক্ষমতা জেলা পর্যায়ের নেই। কাউকে বহিষ্কার করতে হলে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সই করে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। তার কিছুই এখানে নেই।'

'ফরিদপুর-৩ আসনের নৌকা প্রার্থীর পরাজয় নিশ্চিত জেনে সাধারণ মানুষের মাঝে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে,' বলেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে এ কে আজাদ বলেন, 'আমি নির্বাচিত হলে ফরিদপুর থেকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসা, টেন্ডারবাজদের উৎখাত করা হবে। অথচ, আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের নিয়ে ফরিদপুরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন। শামীম হক তার গুণ্ডাবাহিনীকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষকে ভোটকেন্দ্রে না আসতে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আসলে তারা স্পষ্টই বিএনপির ভোট বর্জন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন।' 

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আইনের শাসন ও মানবাধিকারের সপক্ষে সবসময়ই সোচ্চার। অথচ, শামীম হক দীর্ঘদিন ধরেই শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জেল থেকে বের করে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন। আমি এসব সন্ত্রাসীদের উৎখাত করে সুন্দর একটি ফরিদপুর তৈরি করতে চাই।'

সংবাদ সম্মেলনে এ কে আজাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক শওকত আলী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বিপুল ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি মাসুদ, কোষাধ্যক্ষ যশোদা জীবন দেবনাথ, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য খলিফা কামাল উদ্দিন ও শাহ আলম মুকুল।

উল্লেখ্য, ফরিদপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচন করায় এবং প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় অনুপস্থিতির অভিযোগে এ কে আজাদসহ ১০ নেতাকে অব্যাহতির ঘোষণা দেয় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ।


 

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands. 

3h ago