সন্ত্রাসীরা বের হয়ে এসেছে: আজাদ, স্বতন্ত্র প্রার্থীর আদালতের দিকে বেশি নজর: শামীম
ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার এক নির্বাচনী সমাবেশে এ কে আজাদ বলেছেন, ফরিদপুরে নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে।
অপরদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে শামীম হক বলেছেন, এ কে আজাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অপমান করছেন, আওয়ামী লীগকে অপমান করছেন।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুর সদরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদাসের হাটে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেন এ কে আজাদ।
এ সময় তিনি বলেন, 'সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড খন্দকার মোশাররফের আমলেও ছিল না। সে সময় সন্ত্রাসীরা ক্রসফায়ারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াতেন কিংবা জেলে ছিলেন। জেলে থাকলেও তারা বাইরে আসতে চাইতেন না।'
এ কে আজাদ বলেন, 'আবার সন্ত্রাসীরা গর্ত থেকে বের হয়ে এসেছেন, জেল থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে এসেছেন। এরা আবার সন্ত্রাস করে বেড়াচ্ছে। সন্ত্রাস ক্যান্সারের মতো। অপারেশন না করলে ভালো হওয়ার সুযোগ নেই। এই অপারেশনের ডাক্তার আপনারা সাধারণ ভোটাররা। আপনারাই পারেন এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে।'
তিনি বলেন, 'আপনারা একতাবদ্ধ হয়ে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সমুচিত জবাব দেন। আমাদের সন্ত্রাস চিরকালের জন্য দূর করতে হবে। এ ক্যান্সার আমরা দূর করব।'
এদিকে, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে ফরিদপুর-৩ আসনের 'নির্বাচনী পরিবেশ' নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক।
এ সময় শামীম হক বলেন, 'এ কে আজাদ দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তিনি নির্বাচনের মাঠের চেয়ে আইন আদালতের দিকে বেশি নজর দিচ্ছেন। নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে তিনি বিভিন্ন কূটকৌশল বেছে নিয়েছেন। সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছেন, যেন নির্বাচন ভণ্ডুল হয়ে যায়।'
'এ কে আজাদ আমাকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন' মন্তব্য করে শামীম হক বলেন, 'তিনি এভাবে আমাকে অপমান করতে চাইছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অপমান করছেন, ঐতিহ্যবাহী সংগঠন আওয়ামী লীগকে অপমান করছেন।'
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর সদরে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও, ধারণা করা হচ্ছে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এ কে আজাদের মধ্যে।
এ আসনের অপর প্রার্থীরা হলেন-বাংলাদেশ কংগ্রেসের এম এ মুইদ হোসেন, জাতীয় পার্টির এস এম ইয়াহিয়া, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের গোলাম রব্বানী খান ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. দেলোয়ার হোসেন।
Comments