নারায়ণগঞ্জ-২: নৌকার প্রচারে যাওয়া ৮ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাসহ ১২ জনকে শোকজ
নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় প্যানেলভুক্ত আট জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে তলব করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।
তাদের নিয়ে নির্বাচনী সভা করায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের চার নেতাকেও তলব করা হয়েছে।
আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় আজ মঙ্গলবার নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি জ্যেষ্ঠ সহকারী বিচারক ধীমান চন্দ্র মন্ডল তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। আগামীকাল বুধবার দুপুরে কমিটির সভাপতির কক্ষে সশরীরে উপস্থিত হয়ে তাদের লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এদিন আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা সেন্ট্রাল করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন সরকার, জাঙ্গালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহেদুল হক, মুকুন্দী গাজীপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লোকমান হোসেন, জাহানারা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক, উজানগোবিন্দী বিনাইরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার উজ-জামান খান, গোপালদী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাদেকুর রহমান কামাল, রোকন উদ্দিন মোল্লা গার্লস ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মইনুল হোসেন মানিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী লুৎফুন্নাহার বেগমকে তলব করা হয়।
তারা এই আট ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে প্যানেলভুক্ত প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার। তারা ভোটগ্রহণের দিন দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণও নিয়েছেন।
তাদের নিয়ে প্রচারণা করায় খাগকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম, আড়াইহাজার উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান শাহিদা মোশারফ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল হক রুবেল, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল আলমকেও কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে ধীমান চন্দ্র মন্ডল বলেন, 'প্যানেলভুক্ত আট ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাসহ ১২ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাদের লিখিত ব্যাখ্যা পেয়ে কমিটি অনুসন্ধান করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেবে।'
এর আগে এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়ে তাঁর স্ত্রী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়মা আফরোজ কারণ দর্শানোর নোটিশ পান।
গত সোমবার তিনি প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা দেন। যদিও ওই দিন বিকেলে খাগকান্দা ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় তিনি প্রচারণায় অংশ নেন এবং স্বামীর পক্ষে নৌকা ভোট প্রার্থনা করেন।
এ ব্যাপারে ধীমান চন্দ্র মন্ডল বলেন, 'নৌকার প্রার্থীর সরকারি কর্মকর্তা স্ত্রীকে শোকজ করা হয়েছিল। তিনি লিখিত ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। পরবর্তীতে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।'
Comments