বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি: আরও দুই তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব
বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দায়ের করা ১৩টি দুর্নীতির মামলার আরও দুই তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছেন আদালত। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ জড়িত কিনা সে বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইতে তাদের তলব করা হয়েছে।
যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন—দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ও মোনায়েম হোসেন, যারা এই মামলাগুলোর তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করেছেন।
বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে নয় মামলায় চার্জশিট দেওয়া গুলশান আনোয়ার প্রধানকে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া চার মামলার তদন্তকারী মোনায়েম হোসেনকে ২৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার সমন জারি করা হয়।
আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেম মামলাগুলোর তদন্তে ত্রুটি শনাক্তের পর এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি একই বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দায়ের করা ১৬টি দুর্নীতির মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের জড়িত কি না, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন আদালত।
পাঁচজন তদন্ত কর্মকর্তা ৫৯টি দুর্নীতি মামলার সবগুলোই তদন্ত করে বাচ্চুসহ অন্যদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন।
প্রসিকিউটর বলেন, তাদের ব্যাখ্যা পাওয়ার পর বিচারক সিদ্ধান্ত নেবেন ৫৯টি মামলায় বাচ্চুসহ ১৪৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে কিনা।
২০২৩ সালের ১২ জুন বাচ্চুসহ ১৪৬ জনের বিরুদ্ধে ২ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। তবে, ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ব্যাপক অর্থ আত্মসাতের সময় ব্যাংকটির দায়িত্বে থাকা তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জড়ায়নি কমিশন।
এ সময়ে বেসিক থেকে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে, যার মধ্যে ৯৫ শতাংশের বেশি ঋণ মঞ্জুর করেছে বোর্ড।
২০১৫ সালে দুদক এই কেলেঙ্কারির ঘটনায় ৫৬টি মামলা করলেও বাচ্চু বা বোর্ড সদস্যদের কাউকে আসামি করা হয়নি। পরে আরও চারটি মামলা দায়ের করা হয়।
Comments