সোনালী লাইফের সাবেক চেয়ারম্যান কুদ্দুস ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

১৮৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস, পরিবারের ছয় সদস্য ও এক আত্মীয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া এ আদেশ দেন। 

আদালতে কর্মরত দুদকের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত বাকিরা হলেন-কুদ্দুসের স্ত্রী ফজলুতুন নেছা, দুই মেয়ে ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া ও তাসনিয়া কামরুন আনিকা, ছেলে মোস্তফা কামরুস সোবহান, সোবহানের স্ত্রী সাফিয়া সোবহান চৌধুরী, তানিয়ার স্বামী মীর রাশেদ বিন আমান, আত্মীয় নূর-ই-হাফজা।

প্রতিষ্ঠানটির সাবেক প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা রাশেদ বিন আমান এখন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং অপর ছয়জন সাবেক পরিচালক।

দুদকের সহকারী পরিচালক রকিবুল হায়াতের পক্ষে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম তাদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, এই আট আসামির বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলার তদন্ত চলছে। তাই তাদের দেশত্যাগ আটকাতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।

বিচারক পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পুলিশের বিশেষ শাখার এসপির (ইমিগ্রেশন) কাছে আদেশের একটি অনুলিপি পাঠিয়েছেন।

চলতি বছরের ২৫ জুলাই দুদক ঢাকার সমন্বিত কার্যালয়ে এই আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

এজাহারে বলা হয়, আসামিরা জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে অবৈধভাবে ১৮৭ কোটি টাকা উত্তোলন করেন। পরে ওই টাকা তাদের মালিকানাধীন বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়।

এই বছরের এপ্রিলে দ্য ডেইলি স্টার সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের একটি অডিট প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে দেখা যায়, কুদ্দুস ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রতিষ্ঠানটি থেকে কমপক্ষে ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

সাময়িক বরখাস্ত কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমানের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর ইন্স্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটি (আইডিআরএ) অডিটটি পরিচালনা করে।

এরপর আইডিআরএ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এসএম ফেরদৌসকে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

Rab DG acknowledges existence of Aynaghar

The inquiry commission on enforced disappearances instructed Rab to keep it as it is and not to make any changes in it, the Rab DG says

2h ago