সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্সে পর্যবেক্ষক নিয়োগ

এফআইডি, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ,

বিপর্যস্ত সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্সে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

পলিসি হোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষায় বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার কয়েক মাস পর সোনালী লাইফের পর্ষদে দু্ইজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে (আইডিআরএ) নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের (এফআইডি) এক আদেশে মন্ত্রণালয় এফআইডির অতিরিক্ত সচিব শাহ আলমকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়।

আইডিআরএ পরিচালনা পর্ষদ স্থগিত করে সোনালী লাইফে প্রশাসক নিয়োগের পর চলমান সমস্যা সমাধানে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এই উদ্যোগ নিলেন।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্মসচিব মো. জাহিদ হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, আইনি জটিলতা নিরসনে সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্সের দায়ের করা সব রিট মামলা প্রত্যাহারের শর্তে কোম্পানিতে আইডিআরএ কর্তৃক দুই জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ করতে হবে।

এর মধ্যে একজনকে অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড অব ডিরেক্টরসের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আইডিআরএ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

নিয়োগ করা অডিট ফার্ম দিয়ে অডিট কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর আইডিআরএ বরাবর অডিট রিপোর্ট দাখিল করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, যতদ্রুত সম্ভব অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড বিধি মোতাবেক নিয়মিত বোর্ড অব ডিরেক্টরস গঠনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গঠিত বোর্ডের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

এর আগে, গত আগস্টের মাঝামাঝি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আইডিআরএ'র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারীর পদত্যাগ দাবি করেন সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্সের প্রায় দুইশ কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

তখন তারা মতিঝিলের আইডিআরএ কার্যালয়ে স্লোগান দিয়ে সোনালী লাইফের আর্থিক উন্নতির জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিয়োগ দেওয়া প্রশাসককে প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছেন।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ছেড়ে ভারতে পালানোর পর অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের পদত্যাগের দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেকেই বিক্ষোভ করছেন।

এদিকে গত এপ্রিলে এক অডিট রিপোর্টে দেখা গেছে, সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও তার পরিবারের ছয় সদস্য পরিচালক হিসেবে থেকে বিমা প্রতিষ্ঠানটির অন্তত ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

তবে দেশের শীর্ষ পোশাক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ'র সাবেক সভাপতি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস কোনো দুর্নীতি বা অনিয়মের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন।

২০২৩ সালে গোলাম কুদ্দুসকে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগসহ ১৭টি অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের জন্য আইডিআরএ গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর অডিট ফার্ম হোদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানিকে নিয়োগ দেয়।

এদিকে ১৮৭ কোটি টাকা আত্মসাতের কারণে গত ২৫ জুলাই কোম্পানিটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

অপর দিকে গত জুলাই মাসে সোনালী লাইফের দুর্নীতি ও অনিয়ম ক্ষতিয়ে দেখতে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হুদাভাসিকে নিয়োগ করেছে আইডিআরএ।

Comments

The Daily Star  | English

Fire breaks out at Korail slum

Five fire engines are rushing to the spot after the blaze originated around 4:15pm

43m ago