পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের আসবাবপত্র বসানোর কাজে ছাত্রলীগের বাধার অভিযোগ

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ
ছবি: স্টার

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের আওতায় হোস্টেলে আসবাবপত্র বসানোর কাজে ছাত্রলীগ বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আসবাবপত্র সরবরাহের সরকারি প্রতিষ্ঠান ঢাকার গণপূর্ত কাঠের কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজেদুল ইসলাম গত ৯ জুলাই পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্প পরিচালক মনিরুজ্জামানের কাছে লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের আওতায় চাহিদার প্রেক্ষিতে পুরুষ ও নারী হোস্টেলে আসবাবপত্র সেটিং ও ফিটিং করার জন্য ঢাকা থেকে গত ১২ মে টেকনিশিয়ান পাঠানো হয়। কিন্তু কাজ শুরুর সময় মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাদিক ও সাধারণ সম্পাদক ইফাদুল ইসলাম টেকনিশিয়ানদের কাজে বাধা দেন।

কাঠের কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজেদুল ইসলাম গত ২৩ মে আসবাবপত্র সেটিংয়ের কাজ পরিদর্শন করে বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক, অধ্যক্ষসহ ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি কাজের স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চান বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, পরে আসবাবপত্র সেটিংয়ের জন্য ঢাকা থেকে আবারও টেকনিশিয়ান পাঠানোর উদ্যোগ নিলে ২২ জুন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজেদুল ইসলামকে ফোন করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয় দিয়ে গালাগালি করা হয়। টেকনিশিয়ান না পাঠানোর জন্য হুমকিও দেওয়া হয় তাকে।

এরপর ঈদ-উল-আযহার পরে টেকনিশিয়ানরা আবারও হোস্টেলের আসবাবপত্র ফিটিং করতে গেলে ছাত্রলীগ কর্মীরা কাজে বাধা দেন। তারা টেকনিশিয়ানদের মারধর করে হুমকি দিলে টেকনিশিয়ানরা কাজ না করেই পটুয়াখালী থেকে চলে যান। সবশেষ ৮ জুলাই ঢাকা থেকে আবারও নতুন টেকনিশিয়ানদের পাঠালে কলেজ শাখার ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ছাত্রলীগ কর্মীরা কাজে বাধা দেন। এতে কাজটি যথাসময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ার আশঙ্কা করছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি।

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সাদিকের মোবাইলে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।

সাধারণ সম্পাদক ইফাদুল ইসলাম কাজে বাধা দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, 'ছাত্রলীগের কেউ সরকারি কাজে বাধা দেয়নি। কে বা কারা বাধা দিয়েছে তাও আমাদের জানা নেই।'

প্রকল্প পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, 'আসবাবপত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের চিঠি পেয়েছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।'

মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মনিরুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে খুব শিগগির একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

15h ago