ফরিদপুরে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ১১ দিন পর মামলা, ৩ দিনেও গ্রেপ্তার নেই

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ফরিদপুরের মধুখালীতে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনের নাম উল্লেখসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন তার বাবা।

ঘটনার ১১দিন পর গত ১১ জুন মধুখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা করা হলেও গত তিন দিনে কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। 

তাছাড়া, ওই কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আজ শুক্রবার পর্যন্ত কোনো উদ্যোগও নেওয়া হয়নি।

মামলায় এজাহারভুক্ত তিন আসামি হলেন, উপজেলা সদরের রেলগেট এলাকার অন্তর জামান অন্তু, গোন্দারদিয়া গ্রামের সোহান শাহ ও গারাখোলা এলাকার তুহিন বিশ্বাস। 

ওই কিশোরী জানায়, অন্তু, তুহিন ও সোহান তার পূর্ব পরিচিত। মোবাইলে ধারণকৃত ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এই তিনজন তাকে ধর্ষণ করে আসছিলেন।

কিশোরীর বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, গত ৩১ মে রাতে উপজেলার মরিচ বাজার সংলগ্ন সোহানের ভাতিজার বাড়িতে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন অন্তু, তুহিন ও সোহান। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে সে রাতেই ওই কিশোরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। পরে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু ধর্ষণকারীরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে ওই কিশোরী বাড়ি ফিরে যায়। 

এরপর থেকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ধর্ষণকারীরা কিশোরীর পরিবারকে নানা ভয়ভীতি ও চাপ প্রয়োগ করতে থাকে বলে জানান স্থানীয়রা।

মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সেদিন রাত ৩টার পর মেয়েটি হাসপাতালে আসে। সে প্রথমে জানায় পেটে ব্যথা হচ্ছে। পরে ধর্ষণের কথা জানায়। তখন আমি তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠিয়ে দেই।'

এরপর গত ৯ জুন ওই কিশোরী একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া দুঃসহ ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেন। ভিডিওটি পরে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমালোচনা শুরু হয়। এরপর গত ১১ জুন ওই কিশোরীর বাবা থানায় মামলা করেন।

এ বিষয়ে মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই কিশোরীর বাবা পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।'

তিনি আরও বলেন, 'ওই কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা এখনো পুলিশের উদ্যোগে করা হয়নি। কিশোরী ও চিকিৎসকের বক্তব্য আমাদের কাছে রয়েছে। যা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করেছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh sees window of opportunity in Trump’s trade war

US President-elect Donald Trump’s trade policies towards China and Mexico could ultimately benefit Bangladesh, according to local apparel exporters.

9h ago