বগুড়া

ব্যাংকের ভল্ট থেকে ২৯ লাখ টাকা লুট, নোটিশে লেখা ‘সার্ভার ডাউন’

‘সকালে টাকা তুলতে এসে দেখি ব্যাংকের গেট বন্ধ। নোটিশে লেখা ছিল কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ। কারণ হিসেবে লেখা “সার্ভার ডাউন”। দুপুরে আরেকবার এসে জানতে পারলাম ব্যাংকের সব টাকা চুরি হয়ে গেছে।’
বগুড়ার মাটিডালি এলাকায় আইএফআইসি ব্যাংকের এই উপশাখার সিন্দুক ভেঙে ২৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। ছবি: স্টার

বগুড়ায় আইএফআইসি ব্যাংকের ভল্ট থেকে ২৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা লুট হয়েছে। গতকাল রাতে মাটিডালি এলাকার ব্যাংকটির উপশাখায় এই ঘটনা ঘটে। তবে আজ ব্যাংকের গেটে তালা ঝুলিয়ে নোটিশে লেখা হয়েছে, সার্ভার ডাউন থাকায় ব্যাংকের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ।

আজ সকাল থেকে গ্রাহকরা ব্যাংকে এসে পুলিশের উপস্থিতি দেখেন। লেনদেন করতে না পেরে তাদেরকে ফিরে যেতে হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রাহক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকালে টাকা তুলতে এসে দেখি ব্যাংকের গেট বন্ধ। নোটিশে লেখা ছিল কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ আছে। কারণ হিসেবে লেখা "সার্ভার ডাউন"। দুপুরে আরেকবার এসে সাংবাদিকদের থেকে জানতে পারলাম ব্যাংকের সব টাকা চুরি হয়ে গেছে।'

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বুধবার সব হিসাব নিকাশ করে উপশাখার কর্মকর্তারা ২৯ লাখ ৪০ হাজার ৬১৮ টাকা ভোল্টে রেখে যান। আজ সকালে এসে দেখেন ব্যাংকের দরজা ভাঙা। চোর ভল্ট ভেঙে সব টাকা নিয়ে গেছে।'

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আক্তার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই উপশাখার ন্যূনতম নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল না। দুজন কর্মকর্তা ও দুজন কর্মচারী মিলে কাজ চালাতেন। দিনে একজন গার্ড থাকলেও রাতে কোনো প্রহরী ছিল না। চোর ছাদের দরজা ভেঙে সহজেই দোতলায় অবস্থিত ব্যাংকে ঢুকে সিন্দুক থেকে সব টাকা নিয়ে গেছে।'

বগুড়ায় ব্যাংকের নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশ সুপার ছয় দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই নির্দেশনা কেউ শোনেননি।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।

কেন নিরাপত্তা কর্মী রাখা হয়নি জানতে চাইলে উপশাখার ম্যানেজার ফাহমিদা ফিরোজ বলেন, আমরা সব পুলিশকে বলেছি।

 

Comments