দুই এনআইডি রাখার অভিযোগে ডা. সাবরিনার বিচার শুরু
ভুয়া তথ্য দিয়ে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রাখার অভিযোগে করা মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা শারমিন হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব আহমেদ আদালতে অভিযোগ পড়ে শোনান।
এ সময় জামিনে থাকা ডা. সাবরিনা নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
এর আগে তার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।
এ মামলার শুনানির জন্য আগামী ২৬ মে তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।
২০২০ সালের ৩০ আগস্ট গুলশান থানার নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মমিন মিয়া বাড্ডা থানায় সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রিপন উদ্দিন ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
মামলার বিবরণী এবং ইসির এনআইডি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ডা. সাবরিনা ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো ভোটার হন।
সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, তার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা দুটিই মোহাম্মদপুরে। তার জন্ম তারিখ ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর।
তিনি তার স্বামীর নাম 'হক' এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর উল্লেখ করেন।
কিন্তু ২০১৬ সালে নেওয়া আরেক এনআইডিতে ডা. সাবরিনা তার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা বাড্ডা এবং স্বামীর নাম 'আরিফুল চৌধুরী' উল্লেখ করেন। এ আইডিতে তার জন্ম তারিখ ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর।
নতুন এনআইডিতে তিনি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক উল্লেখ করেন এবং মায়ের নামও পরিবর্তন করেন।
ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ অনুযায়ী, দুই এনআইডি রাখা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এর ন্যূনতম শাস্তি দুই বছরের জেল বা জরিমানা কিংবা উভয়।
ভুয়া কোভিড-১৯ সনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ২০২২ সালের ১৯ জুলাই সাবরিনাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
Comments