সুবর্ণচরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ১০ জনের ফাঁসি, ৬ জনকে যাবজ্জীবন

মামলার মূল অভিযুক্ত রুহুল আমিন মেম্বার (মাস্ক পরা)। ছবি: সংগৃহীত

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ১০ জনের ফাঁসি ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক মো. রুহুল আমিন, মো. হাসান আলী দুলু, মো. সোহেল, স্বপন, ইব্রাহীম খলিল, আবুল হোসেন প্রকাশ আবু, মো. ছালা উদ্দিন, মো. জসিম উদ্দিন, মো. মুরাদ, ও মো. জামাল প্রকাশ হেঞ্চু। 

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন—মো. হানিফ, মো. চৌধুরী, মো. বাদশা আলম ওরফে বাসু ওরফে কুড়াউল্লা বাসু, মোশারফ, মো. মিন্টু ওরফে হেলাল ও মো. সোহেল। 

এর আগে গত ২৯ নভেম্বর অধিকতর যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য ১৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন বিচারক। তবে, রায় লেখা শেষ না হওয়ায় আদালত রায় ঘোষণার জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি তারিখ পুনর্নির্ধারণ করেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে স্থানীয় রুহুল আমিনের নেতৃত্বে স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জেরে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ অভিযোগপত্র দেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক জাকির হোসেন।

এর আগে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছালেহ আহম্মদ সোহেল খান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৩ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য নিয়েছে। মামলায় রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। পুলিশ ১৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার পর থেকে আসামি মো. মিন্টু ওরফে হেলাল (২৮) পলাতক।'

বাদীপক্ষের আইনজীবী মোল্লা হাবিবুর রছুল মামুন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সুবর্ণচরে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় কারাগারে আছেন ১৫ জন। তাদের মধ্যে আট আসামি নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।'

Comments

The Daily Star  | English
NID cards of Sheikh Hasina and family locked

NIDs of Hasina, 9 family members 'locked'

The NIDs of the 10 listed individuals were locked through an official letter on April 16

2h ago