বিএনপি নেতা কাইয়ুমকে দেশে ফেরতে মালয়েশিয়া হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

এম এ কাইয়ুম। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় আটক বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা এম এ কাইয়ুমকে দেশে ফেরত পাঠানোর আদেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন দেশটির হাইকোর্ট।

সেকেন্ড হোম কর্মসূচির আওতায় মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত কাইয়ুমের বিরুদ্ধে ইউএনএইচসিআর-এর নিবন্ধিত শরণার্থী হিসেবে ফেরত পাঠানোর আদেশে আজ স্থগিতাদেশ দেন আদালত।

নিউ স্ট্রেইটস টাইমস আজ জানিয়েছে, গত ১২ জানুয়ারি পুলিশ এবং বাংলাদেশি গোয়েন্দাদের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ সকালে বিচারক কে মুনিয়ান্দির আদালতে মামলার শুনানি হয়।

মালয়েশিয়ার মানবাধিকার সংস্থা সুয়ারা রাকিয়াত মালয়েশিয়ার নির্বাহী পরিচালক সেভান দোরাইসামি এক বিবৃতিতে বলেছেন, কাইয়ুম ইউএনএইচসিআর-স্বীকৃত শরণার্থী যার সক্রিয় ইউএনএইচসিআর কার্ড ছিল। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তার এবং আটকে রাখা অযৌক্তিক।

'আমরা অভিবাসন বিভাগকে আদালতের আদেশ সম্পূর্ণরূপে মেনে চলার এবং অবিলম্বে কাইয়ুমকে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা বন্ধ করার দাবি জানাই।'

তিনি বলেন, নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের সম্মান ও সুরক্ষার জন্য সরকারকে অবশ্যই তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে, পাশাপাশি তাদেরকে জোর করে এমন দেশে ফেরত পাঠানো থেকে বিরত থাকতে হবে যেখানে তারা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

কাইয়ুমের ছেলে নাভিদ তানভিন অনন্ত বলেন, ২০১৫ সালে ঢাকায় সিজার তাভেল্লা নামে এক ইতালীয় নাগরিক খুন হওয়ার পর থেকে তার বাবা 'রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার' হন।

তিনি বলেন, তাভেল্লা হত্যাকাণ্ডের পরপরই আইএস এর দায় স্বীকার করে। ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে এসব হত্যাকাণ্ডে নব্য জেএমবির সঙ্গে সম্পৃক্ততা পায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

তবে, গোয়েন্দা শাখা আইএসআইএসের দাবি এবং র‌্যাবের বক্তব্য উপেক্ষা করে কাইয়ুম ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে, তিনি যোগ করেন।

Comments

The Daily Star  | English