জামিনাদেশ কারাগারে পৌঁছানোর পরও মুক্তি পেলেন না জবি শিক্ষার্থী খাদিজা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা গত বৃহস্পতিবার জামিন পেলেও কারাগার থেকে মুক্তি পাননি আজ রোববার রাত পর্যন্ত। তার জামিনের আদেশ আজ সন্ধ্যায় কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়।
খাদিজার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ গত বৃহস্পতিবার বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
তার মুক্তির জন্য আজ সারাদিন তার পরিবারের সদস্যরা কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের বাইরে অপেক্ষা করেন। কিন্তু রাত ১১টা পর্যন্ত খাদিজা মুক্তি না পাওয়ায় তাকে ছাড়াই তারা ফিরে আসছেন।
খাদিজার বোন সিরাজুম মুনিরা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কুরিয়ারের বাইকে করে সন্ধ্যা ৭টায় আদালতের আদেশ কারাগারে এসেছে আমি নিজে দেখেছি। এমনকি আমরা কুরিয়ারের লোকের সঙ্গে কথাও বলেছি।'
'যখন জানতে চাইলাম কেন খাদিজাকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না, তখন এক পুলিশ সদস্য এসে আমাদের বললেন যে তারা অন্যান্য সংস্থা এবং পুলিশের ছাড়পত্রের অপেক্ষা করছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার জন্য নাকি এ ছাড়পত্র লাগবে,' বলেন মুনিরা।
আদালতের আদেশের কপি কারাগারে পৌঁছানোর নোটের অনুলিপি দ্য ডেইলি স্টারের কাছে আছে।
জানতে চাইলে খাদিজার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জামিনের আদেশ কারাগারে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে খাদিজাকে মুক্তি দেওয়া উচিত ছিল। তাকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে। এটা সুস্পষ্ট আদালত অবমাননা।'
কাশিমপুর মহিলা কারাগারের সিনিয়র জেলসুপার শাহজাহানের দাবি, তারা রাত সাড়ে ৮টায় আদেশ পেয়েছেন।
তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সব কয়েদিকে যেহেতু তাদের সেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাই এই আদেশ প্রক্রিয়া করতে কিছুটা সময় লাগবে। আমরা আগামীকাল তাকে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করব।'
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১১ ও ১৯ অক্টোবর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানা পুলিশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে। মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার পর ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১১ মাস ধরে তিনি কারাগারে। ইতিমধ্যে তিনি দুই সেমিস্টারের পরীক্ষা দিতে পারেননি।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২ মামলায় খাদিজার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।
Comments