গ্রেপ্তার নুর কামাল রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে প্রথম গুলি করেন: র‍্যাব

গ্রেপ্তার নুর কামাল ওরফে সমিউদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে র‍্যাবের হাতে গতকাল গ্রেপ্তার নুর কামাল ওরফে সমিউদ্দিন নিহত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে প্রথম গুলি করেন।

আজ সোমবার র‍্যাব ১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানিয়েছেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুর কামালকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, দেশীয় ৬টি বন্দুক ও ১৩টি গুলি উদ্ধার করা হয়।

আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার বৃহত্তর কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া ক্যাম্পের ডি-ব্লকে তার সংস্থার কার্যালয়ে মুখোশধারী বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন। 

বালুখালী ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা নুর কামাল রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ ও অস্ত্রসহ নানা অভিযোগে উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ১৫টির বেশি মামলা আছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

র‍্যাব কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, 'নুর কামালের নেতৃত্বে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ২০ জনের একটি কিলার গ্রুপ আছে। ওই কিলার গ্রুপটি রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়।'

তিনি আরও বলেন, 'মুহিবুল্লাহকে প্রথম নুর কামালই প্রথম গুলি করেন এবং হত্যার পর ফাঁকা গুলি করতে করতে পালিয়ে যান।'

এছাড়া গত বছরের নভেম্বরে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে মাদক চোরাকারবার বিরোধী যৌথ অভিযানে সশস্ত্র হামলায় গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায়ও তিনি অংশ নেন বলে র‍্যাব জানিয়েছে।

র‍্যাব জানায়, আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনীর নির্দেশে 'কিলার গ্রুপের' ১৫ জনের বেশি সদস্য মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের ২ দিন আগে তারা পাশের একটি ক্যাম্পে গোপন সভা করে। ওই সভায় হত্যা মিশনে অংশগ্রহণকারীদের দায়িত্ব বণ্টন করেন নুর কামাল।

আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনী এখন মিয়ানমারে অবস্থান করছেন এবং নুর কামালের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ আছে বলে র‍্যাব দাবি করেছে।

খন্দকার আল মঈন বলেন, 'রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে ও আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন অপরাধে নুর কামাল নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। অপরাধ সংঘটনের পর তিনি পার্বত্য জেলার গহীন পাহাড়ি এলাকায় আত্মগোপন করতেন।'

গ্রেপ্তার নুর কামালের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানান র‍্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh transition from autocracy to democracy

Transitioning from autocracy to democracy: The four challenges for Bangladesh

The challenges are not exclusively of the interim government's but of the entire political class.

10h ago