৮০ কোটি টাকা পাচার, ৪২৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ: পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলার রায় ৮ অক্টোবর

পি কে হালদার
পি কে হালদার। ছবি: সংগৃহীত

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে কানাডায় ৮০ কোটি টাকা পাচার ও প্রায় ৪২৬ কোটি টাকা অবৈধসম্পদ অর্জনের মামলায় রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

মামলার প্রধান আসামি পিকে হালদার। অর্থপাচারের অভিযোগে গত বছরের ১৪ মে ভারতের অশোকনগরে পিকে হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন-- পিকে হালদারের আইনজীবী সুকুমার মৃধা, মেয়ে অনিন্দিতা মৃধা, সহযোগী অবন্তিকা বড়াল ও চাচাতো ভাই শঙ্খ বেপারী, পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার এবং ভাই প্রীতিশ কুমার হালদার; এবং সহযোগী পূর্ণিমা রানী হালদার, অমিতাভ অধিকারী, রাজীব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায়, উত্তম কুমার মিস্ত্রি এবং স্বপন কুমার মিস্ত্রি।

তাদের মধ্যে সুকুমার, অনিন্দিতা, অবন্তিকা ও শঙ্খ আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলেন এবং কারা হেফাজতে আছেন এবং পিকে হালদারসহ ১০ জন পলাতক।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সুকুমার, শঙ্খ ও অনিন্দিতা এর আগে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আদালত এর আগে মামলার অভিযোগকারীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১০৮ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি পিকে হালদারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।

অভিযোগপত্রে পিকে হালদারসহ ১০ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে এবং তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার চলছে।

গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর একই মামলায় পিকে হালদারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত।

প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

 

Comments

The Daily Star  | English
Overall situation of foreign direct investment

Net foreign direct investment hits six-year low

The flow of foreign direct investment (FDI) in Bangladesh fell to $104.33 million in the July-September quarter of fiscal year 2024-25, the lowest in at least six years, as foreign investors stayed away from Bangladesh amid deadly political unrest, labour agitation, and a persistent economic crisis.

12h ago