কানাডায় ৮০ কোটি টাকা পাচার করেছেন পি কে হালদার
![পিকে হালদারের ২২ বছরের জেল পিকে হালদারের ২২ বছরের জেল](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2022/02/14/pk_halder_web.jpg?itok=WnBhjiwE×tamp=1696757794)
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার কানাডায় প্রায় ৮০ কোটি টাকা পাচার করেছেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে উঠে এসেছে।
তদন্ত কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিনের তদন্ত অনুসারে, হালদার তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে প্রায় ৪২৬ কোটি টাকা সংগ্রহ করেন।
আদালতে দুদকের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে এ সংক্রান্ত ৫৬ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
ওই দুদক কর্মকর্তার ভাষ্য, হালদারের দুর্নীতির মামলায় এটিই প্রথম অভিযোগপত্র। তিনি বলেন, পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য এটি আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, পি কে হালদারের মা লীলাবতী ও তার ভাই প্রীতিশসহ মোট ১৩ জন ব্যক্তি তাকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহযোগিতা করেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, বর্তমানে কানাডায় পলাতক পি কে হালদার তার নামে অবৈধ উপায়ে বিভিন্ন আসল ও জাল কোম্পানি এবং নানা ব্যক্তির মাধ্যমে এসব সম্পদ অর্জন করেন।
এছাড়া তিনি ১৭৮টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করেন। বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে তিনি জমা রাখেন ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা। যার মধ্যে নামে-বেনামে ৬ হাজার ৭৬ কোটি টাকা তুলে নেন। একইসঙ্গে অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগসাজশ করে হালদার সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভারতের মাধ্যমে কানাডায় ১১ দশমিক ৭ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার পাচার করেন।
অভিযোগপত্রে হালদারসহ তার মা লীলাবতী, ভাই প্রীতিশ এবং পূর্ণিমা, অমিতাভ, রাজীব, সুব্রত ও অনঙ্গ নামের ৮ অভিযুক্তকে 'পলাতক' দেখানো হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।
Comments