বিদেশে এস আলমের সম্পদের অভিযোগ অনুসন্ধানে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থা

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে বিদেশে ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ে তোলার অভিযোগের অনুসন্ধানে আগামী বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থায় আদেশ দিয়েছেন আদালত।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের সামনে এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৮ জানুয়ারি পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে এই আদেশ দেন বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার বেঞ্চ।

আগামী সংসদ নির্বাচনের পর এই তারিখ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আজমালুল হোসেন ও আহসানুল করিম।

বিচারপতি আদেশ দিয়েছেন যে পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত এটি স্থিতাবস্থায় থাকবে।

তবে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে মোহাম্মদ সাইফুল আলমের করা আবেদন অনুযায়ী গণমাধ্যমে এ বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বিচারক কোনো মন্তব্য করেননি।

সাইফুল আলম ও ফারজানা পারভীন সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন বলে দ্য ডেইলি স্টারের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, এস আলম গ্রুপ কখনোই বিদেশে বিনিয়োগ বা তহবিল স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেয়নি।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনটি নজরে আনার পর শুনানি নিয়ে ৬ আগস্ট বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দেন।

প্রতিবেদনে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্ত করে ২ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এ ব্যাপারে সহায়তা করতে বলা হয়।

বিদেশে অর্থ স্থানান্তরে এস আলম গ্রুপকে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং বিএফআইইউ-এর প্রধানকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

বাংলাদেশে অফশোর ব্যাংকিংয়ের কোনো ব্যবস্থা আছে কি না; বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব কী এবং অফশোর ব্যাংকিং কীভাবে অর্থ পাচারে সহায়তা করে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে আদালতের প্রতিবেদন দাখিল করতেও তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে মানি লন্ডারিং রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনের অভিযোগ অনুসন্ধানে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা–ও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন বেঞ্চে উপস্থাপন করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চাওয়ার পর আদালত এ আদেশ ও রুল দেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Yunus thanks foreign medical teams for treating Milestone crash victims

A delegation of 21 physicians and nurses from Singapore, China, and India met Yunus at Jamuna

9h ago