চৌদ্দগ্রামে মা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রী ও ছেলেকে গভীর রাতে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সদরের পাঁচড়া বেপারী বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, নিহতরা হলেন নিপা আক্তার (২৭) ও তার ৮ বছর বয়সী ছেলে আলী আহসান মুজাহিদ। নিপার স্বামী আনোয়ার হোসেন দুবাই প্রবাসী। 

এ ঘটনায় পুলিশ মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে এবং আবদুল্লাহ ও শুভ নামে ২ জনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

নিপার বাবা জালাল আহমেদের অভিযোগ, তার মেয়ের জামাই আনোয়ার হোসেনের ভাইয়ের ছেলে মঈনুল হাসান শুভ (২২) এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে তার ভাই মঈনুল হোসেন শুভর বাবা মীর হোসেনের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। পূর্ববিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

তিনি জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টায় নিপা আক্তার ছেলে আলী আহসান মুজাহিদকে নিয়ে বাড়ির পাশে মামাশ্বশুর আজিজুল ইসলামের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এ সুযোগে হত্যাকারী ঘরের ভেতর প্রবেশ করে নির্মানাধীন টয়লেটে লুকিয়েছিল। রাতে ঘরে ফিরে নিপা ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে আনুমানিক আড়াইটার দিকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে তাদের গুরুতর জখম করে। এ সময় চিৎকার শুনে লোকজন ছুটে এসে মুজাহিদ ও তার মা নিপা আক্তারকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিপাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় আলী আহসান মুজাহিদকে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যায়।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, মা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার খবর পেয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। 

চৌদ্দগ্রাম সার্কেলের এ এসপি  জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম হত্যার রহস্য উদ্ধার  ও জড়িতদের আটকের জন্য কাজ করছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Depositors leave troubled banks for stronger rivals

Depositors, in times of financial uncertainty, usually move their money away from troubled banks to institutions with stronger balance sheets. That is exactly what unfolded in 2024, when 11 banks collectively lost Tk 23,700 crore in deposits.

10h ago