মহিলা দলের কর্মীকে ‘হেনস্তার’ পর পুলিশে দিল ‘ছাত্রলীগ’
চট্টগ্রামে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এক কর্মীকে 'শারীরিক হেনস্তার' পর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
গত বুধবার রাতে মহিলার দলের ওই কর্মীকে হেনস্তার ঘটনা ঘটে। তার নাম নাদিয়া নুসরাত। পরে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ তাকে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে নেয়। সেখান থেকে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।
বিএনপি ও মিরসরাইয়ের স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, বুধবার রাতে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সমাবেশে যোগ দিয়ে নিজ বাসায় ফেরার পথে উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন ইসাখালী বাজার এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নাদিয়াকে শারীরিক হেনস্তা করেন। পরে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে তার রাজনৈতিক সহকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হলে বিষয়টি সবার নজরে আসে।
নাদিয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শহরে বিএনপির সমাবেশ থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চড়ে বাড়ির দিকে আরও ২ জনের সঙ্গে ফিরছিলেন নাদিয়া। স্থানীয় জনতা তাদের মাথায় বিএনপির টুপি দেখে তাদের আটকে পুলিশকে খবর দেয়।'
ওসি জাহিদ হোসেন আরও বলেন, 'তিনি (নাদিয়া) নাশকতার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি না। তবে তদন্তে তার নাম পাওয়া গেছে।'
যারা নুসরাতকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন তাদের পরিচয় জানতে চাইলে জানতে চাইলে ওসি বলেন, 'তারা কারা এবং তাদের পরিচয় কি, তা আমি জানি না।'
পুলিশের ভাষ্য, নাদিয়া মিরসরাই মহিলা দলের প্রচার সম্পাদক। তবে মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলামের বক্তব্য, তিনি মহিলা দলের একজন কর্মী।
শহিদুল ইসলাম বলেন, 'ছাত্রলীগের লোকজন নাদিয়ার সিএনজি আটকে তাকে শারীরিকভাবে হয়রানি করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।'
শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, 'থানায় তার (নাদিয়া) নামে কোনো মামলা নেই। কিন্তু পুলিশ তাকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ করেছি এবং অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করছি।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানা ডেইলি স্টারকে শুরুতে বলেন, 'এখানে কোনো বিএনপি আছে নাকি?'
পরে হেনস্তার অভিযোগ প্রসঙ্গে রানা বলেন, 'এ বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই।'
Comments