মানিকগঞ্জে স্কুলশিক্ষককে কুপিয়ে আহত

মানিকগঞ্জ
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার লেমুবাড়ী বিনোদাসুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জামাল উদ্দিনকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বাসা থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে বেতিলা-বালিরটেক সড়কের হিজলাইন এলাকার এনবিসি ইটভাটার সামনে হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত অবস্থায় তাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার।

হামলার শিকার জামাল উদ্দিন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও লেমুবাড়ী বিনোদাসুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক।

তার সহকর্মী আবুল হোসেন বলেন, 'জামাল উদ্দিন আর আমি প্রতিদিন তার মোটরসাইকেলে চড়ে মানিকগঞ্জ জেলাশহরের বাসা থেকে বিদ্যালয়ে যাই-আসি। প্রতিদিনের মতো আজও আমি আর উনি যাচ্ছিলাম। আমাদের মোটরসাইকেল বেতিলা-বালিরটেক সড়কের হিজলাইন এনবিসি ইটভাটা এলাকায় যাওয়ামাত্র দুইজন যুবক জামালকে এলোপাতাড়িভাবে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। আমরা মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যাই। এরপর পেছন দিক থেকে একটি মোটরসাইকেলে আরও দুইজন সেখানে আসে। তাদের ব্যাগের ভেতর থেকে চাপাতি বের করে জামাল উদ্দিনকে কোপাতে তাকে। একপর্যায়ে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রেখে তারা চলে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় আমি তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।'

জামাল উদ্দিনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, একমাস আগে জামাল উদ্দিনের ভাইয়ের ছেলেকে মারধর করে উত্তর পুটাইল এলাকার সজিব, কাজল, উজ্জ্বলসহ কয়েকজন। এই ঘটনায় জামাল উদ্দিন প্রতিবাদ করেছিলেন এবং থানায় অভিযোগ করেছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারাই আজ সকালে এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

ওসি আব্দুর রউফ সরকার বলেন, 'শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনা শোনার পর দ্রুত হাসপাতালে যায় পুলিশ সদস্যরা। কিন্তু আমাদের সদস্যরা হাসপাতালে গিয়ে তাকে পায়নি। জামাল উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। হামলাকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে।'

Comments

The Daily Star  | English

S Alam threatens int'l legal action against govt over asset freezing: FT

Alam says his family's bank accounts were frozen, they were subjected to travel bans, and they lost control of their companies, all while facing investigations for alleged money laundering without formal notification.

1h ago