আয়কর ফাঁকি মামলায় বিএনপি নেতা দুলুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

নিয়ম অনুযায়ী, দুলুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। সে সময় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।
১২ ডিসেম্বর ২০১৮, বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে তার গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ের ছবি: ছবি: সংগৃহীত
১২ ডিসেম্বর ২০১৮, বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে তার গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ের ছবি: ছবি: সংগৃহীত

আয়কর ফাঁকির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান অভিযোগ গঠন করেন।

নিয়ম অনুযায়ী, দুলুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। সে সময় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।

প্রসঙ্গত, এই মামলায় তিনি জামিনে মুক্ত আছেন।

দুলুর আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এর আগে আমরা অভিযোগ থেকে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছিলাম। আদালত শুনানি শেষে সেই আবেদনটি খারিজ করে দেন।

আদালত সূত্র জানিয়েছে, আগামী ১৪ মে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুনানি হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সহকারী কর কমিশনার হাফিজ আল আসাদ বাদী হয়ে ২০০৮ সালের ৩ আগস্ট জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে দুলুর বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

এনবিআরের দাবি, ১৯৮৩ সাল থেকে শুরু করে মোট ২ কোটি ৩৪ লাখ ৩৭ হাজার ৫০১ টাকা আয়ের বিপরীতে ১০ লাখ টাকার আয়কর ফাঁকি দিয়েছেন তিনি।

অভিযোগপত্রে আসাদ উল্লেখ করেন, দুলু মোট ১০ লাখ ৩৭ হাজার ৫২২ টাকা আয়কর ফাঁকি দিয়েছেন। এছাড়া, তার প্রকৃত আয় ও ব্যয় সম্পর্কে আয়কর বিভাগকে ভুল তথ্য দিয়েছেন।

ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দুলু উচ্চ আদালতে যান। হাইকোর্ট বিভাগ মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করেন।

একই বছর দুলুর বিরুদ্ধে ৬টি মামলা দায়ের হয়। সে সময় তিনি নিরাপদ হেফাজতে চেয়ে ২০০৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে পৃষ্ঠপোষকতার দায়েও তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

7h ago