বান্দরবানে মারমা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

বান্দরবানের লামা উপজেলায় এক মারমা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার এই ঘটনা ঘটে।

শনিবার রাতে অভিযুক্ত কায়সারকে (৩৫) আসামি করে লামা থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী।

লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। ভিকটিমকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারে প্রক্রিয়া চলছে।

তবে মামলার জন্য ভিকটিমের পরিবারকে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় বলে অভিযোগ করেন তারা।

এনিয়ে লামা থানার ডিউটি অফিসার এসআই (নিরস্ত্র) মো. হাফিজুর রহমান রাত সাড়ে ৯টার দিকে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছিলেন, থানার অফিসার ইনচার্জ এলেই মামলা গ্রহণ করা হবে।

ভিকটিমের পরিবার জানায়, গতকাল দুপুরে গ্রামের পাশের ঝিড়ি থেকে চিৎকার শুনতে পেয়ে পাশের জমিতে কাজ করতে থাকা গ্রামবাসী জঙ্গলে আহত নারীকে দেখতে পায়। এসময় অভিযুক্ত কায়সারকে (৩৫) পালিয়ে যেতে দেখলে গ্রামবাসীরা তাকে ধরে পিটুনি দিয়ে বেঁধে রাখে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসী ডেইলি স্টারকে বলেন, আমরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় কায়সারকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে দিতে যাওয়ার আগেই ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষিত আসনের সদস্য জোস্না আক্তার গ্রামে চেয়ারম্যান কার্যালয়ে বিচার করবে বলে কায়সারকে নিয়ে যায়। চেয়ারম্যান কায়সারকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠাতে বলেন এবং সুস্থ হয়ে আসার পর বিচার করা হবে বলেন।

এ বিষয়ে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ  চেয়ারম্যান মো. নূর হোসেন চৌধুরী বলেন, অভিযুক্ত কায়সার সুস্থ হয়ে আসার পর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও  মগপাড়ার গ্রামবাসী মিলে  দুই পক্ষকে ডেকে মীমাংসা করে দিতে বলেছি।

মহিলা মেম্বার জোস্না আক্তার বলেন, মগ পাড়ার মগরা একজন বাঙ্গালিকে ধরে নিয়ে গেছে। তাই আমি অভিযুক্ত কায়সারকে আমার হেফাজতে নিয়ে আসি এবং চেয়ারম্যানকে বিষয়টা সমাধানের জন্য বলি।

ধর্ষণে অভিযুক্তকে পুলিশে না দিয়ে নিজের হেফাজতে নিয়ে বিচার বিলম্বিত করার কারণ জানতে চাইলে, তিনি বলেন, জনসম্মখে জিজ্ঞাসা করেছি ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা। ওই নারী স্বীকার করেনি।

তবে মেয়েটির গায়ে আঘাতের চিহ্ন আছে বলে জানান এই মহিলা মেম্বার।

ভুক্তভোগী নারী জানান, অন্যের জমিতে দিনমজুরি করে শিশু সন্তানকে নিয়ে জীবিকানির্বাহ করেন। বাড়িতে কোনো তরকারি না থাকায় ঝিড়ির পাশে শাক তুলতে গেলে সেখানে ধর্ষণের শিকার হন তিনি। সবার সামনে এ নিয়ে প্রশ্ন করায় ভয়ে বলতে পারেননি তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
rise of foreign investment in Bangladesh

Bangladesh draws growing attention of foreign investors

Says Uber official in an interview with The Daily Star

12h ago