৩ ব্যক্তিকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা

গাজীপুরের মানচিত্র। ছবি: স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স
গাজীপুরের মানচিত্র। ছবি: স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

গাজীপুরের টঙ্গীতে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের ৩ কর্মীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার ছেলে।

গত সোমবার রাতে টঙ্গী বাজারের মিতালী ফিলিং স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মো. শামি সরকার টঙ্গী পূর্ব থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন ওরফে মনি সরকারের ছেলে।

নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি টঙ্গীতে নেটওয়ার্ক সল্যুশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।

এ ঘটনায় ওই রাতেই শামি সরকারকে প্রধান আসামি করে টঙ্গী থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হাফিজুল ইসলাম জানান, টঙ্গীর মিতালী বাজার এলাকায় শামি সরকারের 'এসএনএস ইন্টারনেট' নামের একটি প্রতিষ্ঠান আছে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক আছেন।

হাফিজুল ইসলামের ভাষ্য, ঘটনার দিন দুপুরে মিতালী পাম্প এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালায়। এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ইন্টারনেট সেবাদাতা ২টি প্রতিষ্ঠানের তার কাটা পড়ে। মামলার বাদী আজিজুল হাকিম ওরফে বাবু ওই দিন বিকেলেই ইন্টারনেট সংযোগ ঠিক করতে তার ৩ কর্মীকে পাঠান। একই সময় নিজেদের লাইন ঠিক করতে ঘটনাস্থলে আসেন শামি সরকার ও তার লোকজন। এ সময় একটি মই নিয়ে ২ পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শামি ও তার লোকজন আজিজুলের ৩ কর্মীকে মারধর করেন।

মামলার বাদী আজিজুল হকের বক্তব্য, তার ৩ কর্মীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করেন শামি সরকার। শামি তার ইন্টারনেট ব্যবসা দখলে নিতে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকিও দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তার কর্মীদের মারধর করা হয়েছে।

আজিজুল হক বলেন, 'তারা (শামি ও তার লোকজন) আমার ৩ কর্মীকে  একটি কক্ষে আটকে রেখে আমার কাছে ফোন করে ৫ লাখ টাকা চাইতে বলে। তারা তা না করতে চাইলে শামি নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এক পর্যায়ে পরনের জামা-কাপড় খুলে নির্যাতন করে।'

অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হাফিজুল ইসলাম এ ব্যাপারে বলেন, 'আমরা ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য শামি সরকারের বাবা টঙ্গী পূর্ব থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন ওরফে মনি সরকারের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

Comments

The Daily Star  | English
Reforms vs election

Reforms vs election: A distracting debate

Those who place the election above reforms undervalue the vital need for the latter.

10h ago